গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত দৌলতদিয়া ঘাটে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে।
ঘাট এলাকায় তিল ধারণের জায়গা খুঁজে পাওয়া না গেলেও তেমন কোনো দুর্ভোগের চিত্র দেখা যায়নি। ফেরিতে মানুষের চাপে যানবাহন পারাপার কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। ১৮টি যানবাহন ধারণ করার ফেরিতে উঠতে পারছে মাত্র ৬/৭টি গাড়ি।
শনিবার দৌলতদিয়া ঘাটে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট ও বাস টার্মিনাল এলাকায় দেখা যায় অসংখ্য ঘরমুখি মানুষের ভিড়।
তবে পর্যাপ্ত যানবাহন থাকায় ফেরিঘাটে এসে তেমন কোনো ভোগান্তি ছাড়াই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে ঘরমুখি মানুষ।
পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে সরাসরি যানবাহনগুলো ফেরিতে উঠতে পাড়ছে।
তবে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন থাকলেও সাধারণ যাত্রীদের চাপে ফেরিতে যানবাহন পারাপার ব্যবহত হচ্ছে। অন্তত ১৮টি যানবাহন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান নামের রোরো ফেরি মাত্র চারটি বাস ও ২টি পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে এসে বেলা ১২টার দিকে দৌলতদিয়া ৫নং ফেরিঘাটে পৌঁছে। এরকম প্রায় সব ফেরির ডেক সাধারণ যাত্রীদের দখলে থাকায় সেখানে যানবাহন উঠতে পারছে না।
এদিকে ঘাট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘাট এলাকায় র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহলে রয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে ফেরির টিকিটে দালালচক্র ও ছিনতাইকারীদের তৎপরতা ঘাট এলাকায় নেই বললেই চলে। এবারের ঈদে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।
ফরিদপুর র্যাব-৮ কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুল আরেফিন পরাগ বলেন, ঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাবও কাজ করছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, বর্তমানে এ রুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবারের ঈদে আশা করি, মানুষ নির্বিঘ্নে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে আসা-যাওয়া করতে পারবে।