,

হিলিতে পেঁয়াজ আমদানি করছেন না ব্যবসায়ীরা

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর:  আমদানি অনুমোদন (আইপি) শেষ হওয়ায় বেশি বেশি পেঁয়াজ আমদানি করে ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। নতুন করে আইপি দিলেও লোকসানের আশঙ্কায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন না ব্যবসায়ীরা।

আইপির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আমদানি করা ভারতীয় ১১টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বিক্রির অপেক্ষায় এখনো বন্দরে পড়ে আছে। গেল ২৯ মার্চ আইপি মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, পরে রমজান মাসে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি অনুমোদন দেয়। সরকার আইপি অনুমতি দিলেও ভারতে দাম বেশি ও বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় পেঁয়াজ আমদানি করছেন না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে ক্রেতা না থাকায় বন্দরের আড়তগুলোয় ৩ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। সর্বশেষ গেল ২৯ মার্চ পেঁয়াজ আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে। তারপর আর কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। গতকাল এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি হয়নি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর ও স্থানীয় আড়ত ঘুরে দেখা যায়, ২৯ মার্চ আমদানি করা ভারতীয় ১১টি পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক ক্রেতা না থাকায় এখনো বন্দরে বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে। শুধু বন্দরে নয়, স্থানীয় আড়তগুলোয় পর্যাপ্ত পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলে ক্রেতা না থাকায় পচে যাচ্ছে এসব পেঁয়াজ। আড়তগুলোয় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকায়। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবু হোসেন বলেন, আইপির মেয়াদ শেষ হওয়ায় দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে আমরা বেশি পেঁয়াজ আমদানি করেছি। সরকার নতুন করে আইপি দেওয়ায় আমদানি করা সেই পেঁয়াজগুলো এখনো বিক্রি করতে পারিনি। বন্দরে ক্রেতা নেই, অন্যদিকে পেঁয়াজের দাম অনেক কম। আমাদের এবার অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, আইপি বন্ধের আশঙ্কায় ভারতে আটকে থাকা পেঁয়াজ বেশি করে আমদানি করেন স্থানীয় আমদানিকারকরা। তবে সরকার নতুন করে আইপি দিলেও ভারতে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় এবং দেশের বাজারে দাম কম হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় পেঁয়াজ আমদানি করছেন না আমদানিকারকরা।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় আড়তগুলোয় পর্যাপ্ত পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। সেগুলো অতিরিক্ত গরমের কারণে পচতে শুরু করেছে। বন্দরে ৩ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়বে না।

এই বিভাগের আরও খবর