,

‘সেতুর অপেক্ষায়’ তিন ইউনিয়নের মানুষ

জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী: মনছেরের ঘাট এলাকায় বুড়ি তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতুর জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন জলঢাকা ও হাতীবান্ধার কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় লাখো মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও সেতু নির্মাণের দাবি আজও উপেক্ষিত। এলাকাবাসীর দাবি বুড়ি তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ হলেই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাব।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও গোলমুন্ডা ইউনিয়নের অংশবিশেষ দিয়ে বয়ে গেছে বুড়ি তিস্তা নদী। নদীর দুইপারের গ্রামগুলোর কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বর্ষা মৌসুমে নৌকায় করে জলঢাকা, নেকবক্ত বাজারে আনা নেয়া করে। শুষ্ক মৌসুমে টোল দিয়ে বাঁশের সেতু দিয়ে মাথায় ও ঘাড়ে করে পারাপার হতে হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মনছেরের ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের দাবি উপেক্ষিত হওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষা, চিকিৎসাসহ অন্য মৌলিক অধিকার। ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, বর্ষাকালে চলাচল বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এখন ঘাট করে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়। আমাদের এলাকার কৃষকরা সঠিক দামটা পায় না।

ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল বলেন, এ বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না।

তবে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর ভিত্তিতে ছয় মাস আগে বুয়েটের স্পেশালাইজড টিম ফিজিবিলিটি যাচাইয়ের জন্য এসেছিল। সেটা ঠিকঠাক থাকলে আর মন্ত্রণালয় যদি অনুমোদন ও বরাদ্দ দেয় তাহলে দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর