,

সুকান্তের পৈতৃক ভিটা ঘুরে গেলেন শিক্ষামন্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈতৃক ভিটা ঘুরে গেলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।

শনিবার দুপুরে মন্ত্রী উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে কবি সুকান্তের পৈতৃক ভিটা ঘুরে দেখেন। এখানে তিনি কবি সুকান্ত লাইব্রেরি ও মুজিব কর্নারে কিছু সময় কাটান।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈতৃক ভিটায় এসে পৌঁছলে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে ডা. দিপু মনি ঢাকা থেকে বিমানে বরিশাল এসে পৌঁছান। বরিশাল থেকে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে কবি সুকান্তের পৈতৃক ভিটা ঘুরে দেখেন।

টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘বরিশাল থেকে টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ালাম কবি সুকান্তের পৈতৃক ভিটায়। মূল ভিটির কোনো চিহ্ন নেই, শুধু সে জমির ওপর নির্মিত হয়েছে একটি পাঠাগার। সামনে আছে কবির একটি ভাস্কর্য। পাঠাগারের ভেতরে কবির বাড়ি থেকে সংগৃহীত কিছু দ্রব্য দেখার জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। জানতে পারলাম সংগীতজগতের নক্ষত্র তারাপদ চক্রবর্তীর বাড়িটিও আর নেই। সে জায়গায় এখন কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়। ‘

১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কলকাতার কালীঘাটের মহিমা হালদার স্ট্রিটে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম নিবারণ ভট্টাচার্য। মা সুনীতি দেবী। ১৯৪৭ সালের ১৩ মে মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ‌’ছাড়পত্র’, ‘ঘুম নেই’, ‘পূর্বাভাস’, ‘অভিযান’, ‘হরতাল’ তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবির প্রতিটি কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর