,

শনাক্ত কমলেও বেড়েছে মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনায় শনাক্তের হার কিছুটা কমতির দিকে। তবে মৃত্যু বেড়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন যাদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে, তারা আক্রান্ত হয়েছিল গড়ে তিন সপ্তাহ আগে। সে সময় শনাক্তের সংখ্যা কম ছিল।

জানুয়ারির শেষ ভাগে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ কারণে আগামী কিছুদিন মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা এবং এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ওমিক্রনের প্রভাব যে এখন স্পষ্ট, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার। জনসচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এ বিষয়ে সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের বড় ধরনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আরো ৩৬ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩১ এবং তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জন মারা গেছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ১৯৩ জনের। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৭.৪৩ শতাংশ। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ১৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ সময় শনাক্তের হার ছিল ২৯.১৭ শতাংশ।

অধিদপ্তর জানায়, নতুন শনাক্ত হওয়া ১২ হাজার ১৯৩ জনকে নিয়ে দেশে গতকাল সকাল পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার ১৮০ জন। আর সর্বশেষ ৩৬ জনকে নিয়ে গতকাল সকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছে ২৮ হাজার ৪৬১ জন।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে চার হাজার ২০৩ জন। তাদের নিয়ে দেশে গতকাল সকাল পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৭ জন।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪৪ হাজার ৪৫১টি। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ২৫ লাখ ৬৮ হাজার ২২৬টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ১৮৩টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগে ছয়জন, খুলনা বিভাগে সাতজন, বরিশাল বিভাগে তিনজন আর সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছে একজন করে।

এই বিভাগের আরও খবর