,

“লবণের অজানা সাত গুণ”

লবণ আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার। লবণের রয়েছে বহুবিধ উপকারিতা। খাবারের বাইরেও দৈনন্দিন নানা সমস্যা থেকে আমাদের মুক্ত করতে পারে এক চিমটি লবণ।

সাতটি সমস্যা সমাধানে লবণের ভূমিকার কথা তুলে ধরা হলো-

১. রান্না করতে গিয়ে আগুনের বা গরম জলের আঁচ লেগে চামড়া পুড়ে বা পানি জমে ফোসকাও পড়ে যায়। তখন আক্রান্ত স্থানে সঙ্গে সঙ্গে লবণ লাগিয়ে নিন। জ্বালা কমে যাবে এবং ফোসকাও পড়বে না।

২. মাছ কাটতে গিয়ে অনেক সময় হাতে কাঁটা বিঁধে যায়৷ তীব্র যন্ত্রণায় নাজেহাল অবস্থা হয়। কাঁটা বিঁধে যাওয়া জায়গায় লবণ ঘষে দিন। অথবা জলে লবণ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান তাতে ডুবিয়ে রাখুন। ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন৷

৩. দাঁতে অল্প ব্যথা হলে রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে লবণ মিশিয়ে মুখে রেখে ফেলে দিন৷ তারপর আর কিছু মুখে দেবেন না৷ পরপর তিন দিন এ রকম করলে দাঁত ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে৷

৪. গলা ব্যথাতেও লবণ পানির সমান উপকারী। টনসিলের ব্যথা বা ঠাণ্ডাজনিত কারণে গলা ব্যথায় উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে গলায় কিছুক্ষণ রেখে ফেলে দিন৷ অনেকটা আরাম পাবেন।

৫. পোকামাকড় কামড়ে দিলে আক্রান্ত স্থান অনেক সময় লাল হয়ে ফুলে যায়। উষ্ণ গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানটি ধুয়ে ফেলুন। জ্বালা বা অস্বস্তি কমে যাবে।

৬. দাঁতের হলদে ভাব সরিয়ে সাদা রং ফিরিয়ে আনতে লবণের সঙ্গে খানিকটা লেবু মিশিয়ে তা দিয়ে দাঁত মাজুন। তিন দিনের মধ্যেই দাঁতের সাদা রং ফিরতে শুরু করবে।

৭. দাঁতের গোড়ায় ব্যথা করলে বা মাড়ি ফুলে গেলে লবণ মেশানো পানি তা উপশম করতে পারে। উষ্ণ গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে তা কিছুক্ষণ মুখে ধরে রাখুন। দুই দিন দুই বেলা নিয়মিত করলেই মাড়ির ব্যথা কমবে৷

এই বিভাগের আরও খবর