কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: ১১ মাস ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার গোপালপুর-রামদিয়া সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজ। সড়কটি উপজেলার বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র রামদিয়া বাজারের প্রবেশদ্বার। যে কারণে সড়কটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত মেয়াদী প্রকল্পে প্রায় এক বছর পার হলেও ৭০ শতাংশ কাজ এখনও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এতে যান ও জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) কাশিয়ানী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে গোপালপুর থেকে রামদিয়া বাজার পর্যন্ত ৪.৪৫০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্তকরণ ও সংস্কার প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়। মীর হাবিবুল আলম, নাটোর নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পায় এবং বাস্তবায়ন করছে।
এদিকে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কজে কিছুটা ধীরগতি এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া কাজের বিল ও নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের লোকজন নিয়মিত কাজ করে না। কয়েকদিন করে ফেলে রেখে চলে যায়। আবার কিছুদিন পরে এসে কাজ করে। এভাবে খামখেয়ালিপনায় মারাত্মক ধীরগতিতে চলছে সড়ক উন্নয়ন কাজ। এতে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন। শিশু, বয়স্ক ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
ইজিবাইক চালক জুয়েল মোল্যা জানান, গত বছরের শেষ দিকে মূল সড়কের দু’পাশ খুঁড়ে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ করা হয়। সড়কের দু’পাশ খুড়ে দীর্ঘদিন ফেলে রাখে। কয়েক মাস পর খোয়া-বালু দিয়ে গর্ত ভরাট করে। এখন আবার জায়গায় জায়গায় ট্রাক্টর দিয়ে মূল সড়ক চাষ দিয়েছে। কিছু জায়গায় রোলার দিয়ে সমান করলেও, চলাচলে অনেক কষ্ট হয়। এ পথে যাত্রী অনেক কমে গেছে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্ম এলাকার তত্ত্বাবধায়ক লালন মিয়া বলেন, কাজ করতে গেলে জনসাধারণের ভোগান্তি কিছুটা হবে। তবে আমাদের অন্য একটা সাইট রয়েছে। যে কারণে কাজে কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে।
কাশিয়ানী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সজল কুমার দত্ত বলেন, ‘ঠিকাদারের গাফিলতি কারণ কিছুটা ধীরগত হচ্ছে। তবে দ্রুত সড়কটির কাজ শেষ করা হবে।’
-লিয়াকত হোসেন লিংকন