রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী নগরীর ছয়টি সরকারি স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার। তৃতীয়, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণিতে মোট ৯১০টি আসনের বিপরীতে এবার ভর্তি যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে ১১ হাজার ৬৩০জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণিতে ৫ হাজার ৯১০জন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৫ হাজার ৪৯৯জন ও সপ্তম শ্রেণিতে ২২১জন শিক্ষার্থী থাকছে। প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রায় ১৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
এছাড়া আসন ফাঁকা থাকার শর্তে সরকারি এই স্কুলগুলোতে নবম শ্রেণিতেও ভর্তি নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। জেএসসি ও জেডিসির পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
নগরীর সরকারি ছয়টি স্কুলগুলোর মধ্যে রয়েছে, পিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুল, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল, শিরোইল উচ্চ বিদ্যালয়, হাজি মুহাম্মদ মহসিন উচ্চ বিদ্যালয় (সাবেক সরকারি মাদরাসা) ও রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (হেলেনাবাদ)।
তৃতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এসব স্কুলে ভর্তি করা হবে ৯১০ জন শিক্ষার্থী। তবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে ১১ হাজার ৬৩০ জন। সকাল এবং বিকাল এই দুই শিফটে ছয়টি স্কুলেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা হবে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষা হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।
ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও পিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদ আরা জানান, এবার পিএন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ১৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে। এছাড়া কলেজিয়েটে ২০০জন, ল্যাবরেটরিতে ৯০, শিরোইলে ১২০ ও হাজি মুহাম্মদ মহসিনে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
হেলেনাবাদ স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১৬৫, হাজি মুহাম্মদ মহসিনে ৩৫, শিরোইলে ২০, কলেজিয়েটে ৪০ এবং পিএনে ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। সপ্তম শ্রেণিতে শুধু হাজি মুহাম্মদ মহসিনে ১৫ এবং শিরোইলে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে। এই পরীক্ষা উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু ৩ হাজার ৮৫৭, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২ হাজার ৪২৫ এবং সপ্তম শ্রেণিতে ১২৬জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে। আর বিকালে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু ২ হাজার ৫৩, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৩ হাজার ৭৪ এবং সপ্তম শ্রেণিতে ৯৫জন শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব তৌহিদ আরা আরও জানান, পরীক্ষা উপলক্ষে তাদের প্রস্তুতি শেষ। এখন পরীক্ষা গ্রহণের পালা। পরীক্ষা শেষে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই ফল ঘোষণা করা হবে।