বাগেরহাট: করোনা ভাইরাস দুর্যোগের সময় ঝুঁকির মুহূর্তেএ সময়ে মানানীয় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি মহোদয়ের নির্দেশে মোংলা পৌরবাসীর ফোন কলের মাধ্যমে চাহিদানুযায়ী কর্মহীন ঘরে থাকা গরীব ও দুস্থ্য মানুষকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ নিজেই পৌঁছে দিচ্ছেন মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও শেখ আব্দুল হাই ব্লাড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম।
নিজস্ব অর্থায়নে নিজে পৌঁছে দিচ্ছেন এই খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ আর অসহায় সকল মানুষদের জন্য হটলাইনে কল দিলে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। অসহায় মানুষগুলোর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী পাশাপাশি ওষুধ বিতরণের ধারাবাহিকতায় রমজানেও বিলিয়ে দিচ্ছেন এসব উপহার।
সারা বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্কে দিশেহারা অনেক উন্নত দেশ। করোনার থাবায় হয়েছে বিধ্বস্ত। পৃথিবীর দুই শতাধিক দেশের মানুষকে করেছে গৃহবন্দী। বাংলাদেশও এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এর হাত থেকে বাঁচাতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানস, গণপরিবহন ও শিল্প কারখানা বন্ধ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এতে করে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে দেশের মানুষকে থাকতে হচ্ছে গৃহবন্দী। খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
নিম্ন আয়ের ও কর্ম বন্ধ হওয়া অসহায় মানুষের মাঝে রমজান উপলক্ষ্যে চাল, ডাল, মুড়ি, খেজুর, আলু ও পেঁয়াজ পৌছে দেন। করোনাকালীন সময়ে এর ধারা চলমান থাকবে বলে জানান আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম।
তিনি বলেন, করোনার হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে সরকার যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিভিন্ন খাতে দিয়েছেন প্রণোদনা। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে সরকারের পাশাপাশি মোংলায় সকল কর্মহীনরা ঘরে থাকলেও যেন খাবারের কষ্ট না পায় সে দিকে লক্ষ্য রেখে উপহার সামগ্রী পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখানে একটি পরিবারের ৫ দিন অথবা ৭ দিনের খাবার সামগ্রী ব্যবস্থা থাকে। ওই পরিবার গুলোর আবার খোঁজ নিয়ে তাদের মাঝে একাধিকবার এই উপহার পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি আমার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে মানুষের পাশে দাড়াতে চাই।
প্রতিটি এলাকায় যদি বিত্তবানরা এসকল কর্মহীনদের পাশে দাড়িয়ে সহযোগীতা করেন তাহলেই এই করোনা নামক অভিশাপ থেকে আমরা মুক্ত হতে পারি। এসময় বিত্তবানদের এসকল কর্মহীনদের পাশে থেকে সহযোগীতা করার জন্য তিনি আহবান করেন। তার এ মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসি ।