রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চন্দনা ও চত্রা নদীর পাড় দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। সম্প্রতি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এসব স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিং করেছে। তবে কোনো দখলদারই সরিয়ে নেয়নি তাদের অবৈধ স্থাপনা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চন্দনা নদী বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের রামদিয়া থেকে বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের মেগচামী পর্যন্ত বয়ে গেছে। আর চত্রা নদী নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুর থেকে শুরু হয়ে বালিয়াকান্দি সদর পেরিয়ে জঙ্গলের ডুমাইনে গিয়ে শেষ হয়েছে। গত এক দশক ধরে এই নদী দুটির পাড় অবৈধভাবে দখল করে গড়ে উঠেছে বহু স্থাপনা। কেউ কেউ সেখানে দালান তুলে মার্কেটও নির্মাণ করেছে। আবার কেউ করেছে বসতবাড়ি। কেউ দোকানপাট। সম্প্রতি উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা ১৪৯ দখলদারের একটি তালিকা করেছে। এর মধ্যে চন্দনা নদীর পাড়ে ৮১ এবং চত্রা নদীর পাড়ে রয়েছে ৬৮ জন। এক সপ্তাহ আগে বালিয়াকান্দি বাজার থেকে নদী দুটির কোল ঘেঁষে মাইকিং করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু এখনও স্থাপনাগুলো সরানো হয়নি বলে জানা গেছে।
বালিয়াকান্দি শহরে চন্দনা নদীর পাড়ে গড়ে তোলা একটি মার্কেটের মালিক রইছ উদ্দিন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে তিনি স্থাপনা করেছিলেন। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে আর লিজ দেওয়া হয়নি। এখন যদি তাদের উচ্ছেদ করে দেয় তাহলে করণীয় কিছুই নেই। বালিয়াকান্দি থানা রোডের সলেমান মোল্লা নদীর পাড়ে টিনের ঘর তুলে জুতা-স্যান্ডেলের দোকান দিয়েছেন। তিনিও জানালেন পাউবোর কাছে লিজ চেয়েছিলেন; কিন্তু লিজ দেয়নি।
বালিয়াকান্দি উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, অবৈধ দখলদারদের গত এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল- তারা কীভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় স্থাপনা করে আছে এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে। কিন্তু কেউ জবাবদিহি করেনি। যে কারণে এক সপ্তাহ আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এটি উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যেভাবে চিঠি পাচ্ছি সেভাবেই কাজ করছি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য পর্যায়ক্রমে আমরা সবই করব। এর পর অবৈধ দখলদারদের তালিকা করে জেলা প্রশাসনে পাঠাব। জেলা প্রশাসন থেকে ভূমি অফিসের মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার পর উচ্ছেদ কার্যক্রম