কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বয়স্ক ভাতার তালিকা তৈরীতে ইউনিয়ন সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার রাজপাট ও মাহমুদপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন সমাজকর্মী ও ভাতা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব চঞ্চলা রানী বণিকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে মাহদী হাসান নামে এক মানবাধিকারকর্মী গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, চঞ্চলা রানী বণিক তথ্য গোপন করে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকরিজীবি তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের নামে বয়স্ক ভাতা কার্ড করে দিয়েছেন। এতে ওই ইউনিয়নের প্রকৃত প্রবীণ ব্যক্তিরা ভাতা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
ভাতা প্রাপ্তরা হলেন চঞ্চলা রানী বণিকের আপন শ^শুর ৬৪ নং মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রিয়নাথ দাস, চাচা শ^শুর রামদিয়া সরকারি এস. কে কলেজের দর্শন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সুশীল কুমার ও নিকটাত্মীয় সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক অখিল বিশ^াস। ভাতাপ্রাপ্ত তিনজনই একই বাড়ির বাসিন্দা ও আর্থিকভাবে অত্যন্ত স্বচ্ছল এবং তাদের স্ত্রী ও ছেলেরা সরকারি চাকরি করেন। ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে তারা সরকারি ভাতা ভোগ করে আসছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান ও ভাতা কমিটির সভাপতি মো: মাসুদ রানা বলেন, ‘আমরা যাচাই-বাছাইয়ের সময় ইউনিয়নব্যাপী মাইকিং করেছিলাম। তবে অফিসের লোকেরা কি করেছে, সেটা আমার জানা নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার একজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, ‘চঞ্চলা রানী বণিক স্বজনপ্রীতি ও ভাতার নীতিমালা লঙ্ঘন করে অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকরিজীবিদের ভাতা প্রদান করেছেন।’
এ ব্যাপারে চঞ্চলা রানী বণিকের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে তার দোষ স্বীকার করেন।
কাশিয়ানী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এম এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’