বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি

ফাইল ছবি

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেছেন, এখন মার্চ মাস। বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ মাসে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আজও আমরা পাকিস্তানের গোলাম হয়ে থাকতাম। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাঙালি জাতির জন্য তাকে পাঠিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে গোপালগঞ্জ পৌর ঈদগাহে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন মুজিববর্ষের উপহার পৌরসভার ১২টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শেখ সেলিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসনামলের ২৩ বছরের মধ্যে ১৩ বছর বঙ্গবন্ধু কারা নির্যাতন ভোগ করেন। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধিকার আন্দোলন পর্যন্ত তিনবার তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। পাকিস্তানে তাকে হত্যার জন্য কবর খোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি কখনো এসবের পরোয়া করেননি। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন।

শেখ সেলিম আরও বলেন, পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি। এ বাংলার কিছু মীরজাফর ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে একটি পাকিস্তানের তাবেদার রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল তারা। মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধ্বংস করা হয়। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, কর্ম ও আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজি লিয়াকত আলী লেকু।

এ সময় বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী এমদাদুল হক, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু প্রমুখ।

এরআগে শেখ সেলিম গোপালগঞ্জ পৌর কমিউনিটি সেন্টার ও পৌর জামে মসজিদ, পৌর পাবলিক হল শপিং কমপ্লেক্স, পৌর নিউমার্কেট, শেখ সেলিম পৌর মিলনায়তন, পৌরসভার সম্প্রসারিত ভবন, হরিদাসপুর ও চাপাইল ব্রিজ, হরিদাসপুর-চাপাইল পর্যন্ত শেখ সেলিম সড়ক, রুরাল পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম, পৌরসভার সারফেজ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও পৌর ঈদগাহ প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

এছাড়া পোপালগঞ্জ পৌর বড়বাজার ও পৌর স্যানিটারি ল্যান্ডফিলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।