,

নওগাঁয়ে অফিস সহকারী নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ

ফাইল ফটো

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় বাঁকরইল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে লোক নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাসেত আলী এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. হারুন-অর রশিদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় নিয়োগ বঞ্চিত চকরঘু গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে আবদুল মাজেদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে আসামি করে ৮ নভেম্বর পত্নীতলা সহকারী জজ আদালতে মামলা দাখিল করেছেন।

এছাড়াও মামলায় জেলা শিক্ষা অফিসার ও ওড়নপুর গ্রামের আবদুল ওয়াহাবের ছেলে মাহফুজ আলমকে মোকাবিলা আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও বাদী সূত্রে জানা গেছে, বাঁকরইল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য ২১ জুন জাতীয় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল মাজেদ আবেদনের যাবতীয় শর্তাবলী পূরণ করে ৩ জুলাই তারিখে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। আবদুল মাজেদ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রবেশপত্র না পেলেও নিয়োগপ্রত্যাশী মোকাবিলা আসামি মাহফুজ আলমের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, ৮ নভেম্বর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে মর্মে তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে প্রবেশপত্র পেয়েছেন। এর মাধ্যমে আবদুল মাজেদ নিয়োগ পরীক্ষা বিষয়ে অবগত হন।

এরপর গত ৫ নভেম্বর তিনি বাঁকরইল উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রবেশপত্র চাইলে প্রধান শিক্ষক তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানান। সংশ্লিষ্ট পদের জন্য তার সব ধরনের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বেআইনি ও ইচ্ছাকৃতভাবে প্রবেশপত্র প্রদান না করায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি ৮ নভেম্বর নওগাঁ সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন।

এ বিষয়ে আবদুল মাজেদ বলেন, নিয়োগ কার্যক্রম শুরুর পূর্ব থেকেই ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে নিয়োগ দেয়ার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হারুন-অর রশিদ ও প্রধান শিক্ষক বাসেত আলীর সঙ্গে মৌখিক চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী তারা মাজেদের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে নগদ ২ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু পরে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ১৮ লাখ টাকার বিনিময়ে চকসহবত গ্রামের রফিকের ছেলে ফারুক হোসেনকে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা করছেন।

এর মাধ্যমে তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এ বিষয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হারুন-অর রশিদ ও প্রধান শিক্ষক বাসেত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের কথা স্বীকার করে বলেন, যথাযথভাবে নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করেই ৮ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য মোট ২১ জন আবেদন করেন। প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে এদের মধ্য থেকে ১৯ জনকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশপত্র দেয়া হয়। তবে পরীক্ষায় ৭ জন অংশগ্রহণ করেন। নিয়োগের জন্য কারও কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের কথা তারা অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওয়াজেদ আলী মৃধা বলেন, আমাদের কাজ আমরা করব মামলার কাজ মামলা করবে।

এই বিভাগের আরও খবর