,

দিনাজপুরে প্রাকৃতিক উপকরণে তৈরি দৃষ্টিনন্দন ভবন ‘আনন্দালয়’

বিডিনিউজ ১০ ডটকম: দিনাজপুরের প্রত্যন্ত একটি গ্রামে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি করা হয়েছে একটি ভবন। প্রতিবন্ধীদের সেবা দেয়ার জন্য নির্মাণ করা হলেও জার্মান এক স্থাপতির নকশায় করা দৃষ্টিনন্দন ভবনটি দেখতে প্রায় প্রতিদিনই ভিড় করছেন অনেকে।

গেল বছর বিরল উপজেলার প্রত্যন্ত রুদ্রপুর গ্রামে বাঁশ-মাটি-কাঠ-খড় আর রশির মতো প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে নির্মাণ করা হয় দৃষ্টিনন্দন এই ভবন, নাম আনন্দালয়।

প্রতিবন্ধী সেবা কার্যক্রমের জন্য চালু করা হলেও ভিন্নধর্মী নির্মাণশৈলীর জন্য এটি এখন অনেকের কাছেই পরিচিত। আনন্দালয়ের স্থাপত্য নিদর্শন দেখতে প্রায় প্রতিদিনই ভিড় করছেন অনেকে। দেশ-বিদেশ থেকে আসছেন স্থাপত্যবিদ্যার শিক্ষার্থীরাও।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার মান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আনন্দালয়ের পাশে ২০০৩ ও ২০০৯ সালে আরও দুটি ভবন তৈরি করেছিলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দীপশিখা। আর সেগুলো নির্মাণেও ব্যবহার করা হয়েছিলো প্রাকৃতিক উপকরণ।

প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ভবন কতটা টেকসই হয় তার উদাহরণ এটি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. রুবেল মজুমদার বলেন,’বাঁশ, মাটি বা খড়কুটা দিয়ে এমন একটা জিনিস গড়ে তোলা হলো, এখনও এটা  টেকসই।’

পরিবেশ আর নান্দনিকতাকে প্রধান্য দিয়েই ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। বলছে দীপশিখা কর্তৃপক্ষ। দীপশিখা’র ম্যানেজার ধনঞ্জয় দেবনাথ বলেন,’আমাদের মূল লক্ষ্য হলো পরিবেশকে সুন্দর রাখা। দেশের বাইরে থেকেও অনেক লোক এখানে শুধুমাত্র ডিজাইনটা দেখার জন্য।’

দাতাসংস্থার অনুদানে তৈরি ভবনগুলোর নকশা করেছেন জার্মান স্থপতি আন্না হেরিঙ্গার। ২০০৭ সালে একটি স্কুল ভবনের নকশার জন্য আগা খান আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড পান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর