,

তালিবানকে শান্তিচুক্তির আহ্বান প্রেসিডেন্ট ঘানির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন তালিবানকে চূড়ান্ত অস্ত্র বিরতির জন্য এবার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসকে সামনে রেখে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রেসিডেন্ট ঘানি বলেন, ‘তালিবান শান্তিচুক্তিতে রাজি হলে আমরা আর যুদ্ধ চালাব না।’

টেলিভিশন ভাষণে আফগান প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করে বলেন, ‘তালিবান একের পর এক অস্ত্র বিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যদি নিজ থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয় তাহলে আমরাও যুদ্ধ থামাতে এক মুহূর্ত সময় ক্ষেপণ করব না।’

প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে সকল জনগণই বর্তমানে একটি টেকসই শান্তিচুক্তি চায়। কেননা এতদিনের রক্তপাতের কারণে এখন সবাই জর্জরিত। যে কারণে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তারা বদ্ধ পরিকর।’

যদিও আফগানিস্তানে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রশাসনের জন্য শান্তি আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে বলে দাবি করছে আফগান তালিবান। সংগঠনটির প্রধান আলোচক শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’কে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই বলছে তারা হাজার হাজার তালিবান সদস্যকে হত্যা করেছে। যদি তার মধ্যে যদি একজন মার্কিন সেনা নিহত হয়; এর মানে এটা নয় যে, তাদের এমন প্রতিক্রিয়া দেখান উচিত।’

তিনি বলেন, ‘আমার কথার মানে হলো- যুক্তরাষ্ট্র কিংবা তালিবান; আমাদের কারও পক্ষ থেকেই এখনে কোনো যুদ্ধবিরতি নেই। তাই আমরা চাইলে যেকোনো সময় হামলা পাল্টা হামলা চালাতে পারি। প্রকৃতভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে এমন অভিযোগ না করাটাই উত্তম।’

এর আগে ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান হামলা চালানোর মাধ্যমে তালিবান সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে। মূলত এর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলোর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নেমে পড়ে গোষ্ঠীটি; যা এখনো অব্যাহত আছে।

পরবর্তীতে দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে গত বছরের জুন মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনায় বসা শুরু করেন তালেবান নেতারা। দীর্ঘ নয় দফায় আলোচনার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত একটি চূড়ান্ত শান্তিচুক্তিতে উভয় পক্ষ একমত হয়।

যদিও সম্প্রতি কাবুলে তালেবান হামলায় এক মার্কিন সেনা নিহতের প্রতিবাদে আসন্ন শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর থেকে পিছিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে শান্তিচুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় ইতি টানেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই বিভাগের আরও খবর