,

‘জমি দখলে’ নিতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের নামে ২৬ মামলা

জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর: গাজীপুরে ২০০ ব্রয়লার মুরগি ও ১২ পিস টিন লুটের মামলায় কফিল উদ্দিন আহমেদ (৭৯) নামের অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে ভাতিজা জহিরুল ইসলামসহ (৩৭) কারাগারে আছেন তিনি।

পরিবারের দাবি, জমি দখলে নিতে ওই শিক্ষকসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গল্প সাজিয়ে ২৬টি মামলা করেছে একটি প্রভাবশালী মহল

শুক্রবার (২০ মে) গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের বাগাবাড়ি এলাকা থেকে চাচা-ভাতিজাকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় কাশিমপুর থানা পুলিশ।

গ্রেফতার স্কুলশিক্ষক কফিল উদ্দিন আহমেদের (৭৯) বাড়ি বাগবাড়ি এলাকায় ও তার ভাতিজা জহিরুল ইসলামও ওই এলাকার শফিজ উদ্দিনের ছেলে।

বৃদ্ধ শিক্ষকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাগবাড়ি এলাকায় তাদের পৈতৃক সূত্রে এক একর ৮০ শতাংশ জমি রয়েছে। সেই জমি রাজধানীর গুলশান এলাকার ফজলুল করিমের ছেলে ইমতিয়াজ করিম, তার সহযোগী বেলায়েত হোসেন, জসিম উদ্দিন চিশতী ও লায়লা আরজু বানু বিভিন্ন সময়ে দখলের চেষ্টা করে আসছেন। জমি দখলে নিতে ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা করেছেন তারা। এর মধ্যে ছয়টি মামলার বাদী ইমতিয়াজ করিম আর বাকিগুলোর বাদী করা হয়েছে বিভিন্নজনকে। বর্তমানে ১৩টি মামলা চলমান রয়েছে।

সর্বশেষ ১৬ মে ইমতিয়াজ করিম বাদী হয়ে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক কফিল উদ্দিন আহমেদ, তার দুই মেয়েসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় শুক্রবার সকালে কাশিমপুর থানা পুলিশ কফিল উদ্দিন ও তার ভাতিজা জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতরের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকে পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

স্কুল শিক্ষকের মেয়ে কামরুন্নাহার বলেন, ‘আমরা চার বোন ও একভাই। বাবা স্কুলশিক্ষক ছিলেন। এখন তার বয়স ৮০ বছরের বেশি। বেশিরভাগ সময় অসুস্থ থাকেন। আমাদের নিরীহ পেয়ে ইমতিয়াজ করিম তার প্রভাব বিস্তার করে জমি দখলে নিতে চাইছেন। আমাদের নামে বিভিন্ন থানায় ২৬টি মামলা করেছেন। নানাভাবে ভয়ভীতিও দেখাচ্ছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইমতিয়াজ করিম বলেন, ‘তারা লোক ভালো নয়। খোঁজ নিয়ে দেখেন তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের যে অভিযোগ, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা বলেন, মুরগি ও টিন নিয়েছে কি না জানি না। তবে ওয়াল ভেঙেছে এবং বেশকিছু গাছ কেটে ফেলেছে এটা সত্য। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাটি আরও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

এই বিভাগের আরও খবর