,

ঘূর্ণিঝড়ের চারদিন পরও কাশিয়ানীতে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হয়নি

ফাইল ফটো

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ:  ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে গোটা কাশিয়ানী উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কাশিয়ানী উপজেলা সদরসহ অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়।

তবে উপজেলার বাগঝাপা, মাজড়া একাংশ, হিরোন্যকান্দি, পরানপুর, মিরারচর ও কাশিয়ানী বিদ্যুৎ অফিসের আওতাধীন পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া উপজেলার পাংখারচর, লংকারচর, চরসুচাইল ও পাচাইলসহ বেশ কিছু এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি।

দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়ছে। এতে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ওইসব এলাকার গ্রাহকরা জানিয়েছেন, চারদিন যাবৎ ওইসব এলাকায় বিদ্যুতের আলো জ্বলেনি। নষ্টে হয়ে যাচ্ছে ফ্রিজে রাখা মাছ, মাংস ও খাদ্যসামগ্রী। লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের। মুঠোফোনে চার্জ না থাকায় আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা।

সাজাইল ইউনিয়নের বাগঝাপা গ্রামের তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘সোমবার সকালে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এরপর থেকে আমরা অন্ধকারে রয়েছি। চারদিন আগে ঘূর্ণিঝড় শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো বিদ্যুৎ আসেনি। মোবাইলে চার্জ নেই। আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।

পাংখারচর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার সকালে ঝড়ের আগে বিদ্যুৎ গেছে। আজও এখানে বিদ্যুৎ আসেনি। অফিসে একাধিকবার জানালেও এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের কোন লোকজন আসেনি। খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি।’

গোপালগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাশিয়ানী অফিসের ডিজিএম মো.ওমর আলী বলেন, ‘ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে, লাইনের ওপর গাছপালা পড়ে এবং বৈদ্যুতিক সংযোগের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরে এসেছে। বাকি সংযোগও দ্রুত দেওয়ার জন্য কাজ করছে কর্মীরা।’

-লিয়াকত হোসেন লিংকন

 

এই বিভাগের আরও খবর