,

ঘর থেকে তুলে নিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণ’

জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর: গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নে গভীর রাতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার রাতে ঘোষেরকান্দি গ্রামে নিয়ে এ গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানায় পরিবার। গণধর্ষণের ঘটনায় রোববার অজ্ঞাত তিনজনকে অভিযুক্ত করে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা।

সরেজমিন জানা যায়, ওই ছাত্রী (১৩) স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবা কৃষক, মা ১০ বছর ধরে প্রবাসে থাকেন। ওই ছাত্রী ছোট থেকেই তার দাদির সঙ্গে থাকে।

এলাকাবাসী জানান, গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কে বা কারা তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে এবং ভোরে সে বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু পরিবার বলছে- শুক্রবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাত ৪টার দিকে মেয়ে নিজেই বাড়ি ফিরে আসে।

প্রতিবেশী কাদির মাস্টারের ছেলে মোক্তার লোক ভাড়া করে এ কাণ্ড ঘটাতে পারে বলে মেয়ের বাবা ও এলাকাবাসীর ধারণা।

শুক্রবার মেয়ের চাচা আসাদুলের সঙ্গে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়েছে মোক্তারের। এর আগেও একাধিকবার মোক্তার তাদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন বলে জানায় পরিবার।

এদিকে সন্দেহযুক্ত মোক্তার ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। মোক্তারের বাড়িতে না পেয়ে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ওই ছাত্রীর দাদি জহুরা বেগম বলেন, আমি আমার নাতনিকে নিয়ে টিনের ঘরে থাকি। শুক্রবার রাতে দুইজন একসঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত ১টার দিকে টিনের বেড়া কেটে দরজা খোলে তিনজন লোক ঘরে আইয়া আমার গলায়, মাথার ওপরে ছুরি ধরে। চিৎকার চেঁচামেচি করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

তিনি বলেন, পরে তারা আমার নাকের, কানের ও গলার গয়না (অলংকার) খুলে নিয়ে পরনের কাপড় দিয়ে হাত-পা বেঁধে রাখে। পরে আমার নাতনিকে হাত, মুখ ও পা বেঁধে নিয়ে যায়। আশপাশের লোকজনসহ অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে আজানের আধাঘণ্টা আগে আমার নাতনি বাড়ি আসে।

মেয়ের বাবা বলেন, তাকে নাকি ধর্ষণ করেছে এবং সে কাউকেই চিনতে পারেনি। তবে আমার সন্দেহ প্রতিবেশী কাদির মাস্টারের ছেলে মোক্তার এ কাজটি অজ্ঞাত লোক দিয়ে করিয়েছে। সে ছাড়া আমার কোনো শত্রু নেই। সে ছাড়া কেউ করবে না এমন কাজ।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আলম  চাঁদ বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদ্রাসাছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে বের করতে পুলিশের একাধিক দল ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর