,

কেন্দ্রীয় কারাগারে ‘চোখ ওঠা’ রোগে আক্রান্ত ৫ শতাধিক বন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। এর প্রভাব দেখা পড়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) বন্দি কয়েদি ও হাজতিদের মাঝেও।

কারা চিকিৎসক জানিয়েছেন, গত ১৫ দিনে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আনুমানিক পাঁচশতাধিক বন্দি। তবে কারা হাসপাতাল থেকে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান শুভ  তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, চোখ ওঠা রোগ যেহেতু ছোঁয়াচে, তাই কারাগারে বন্দিদের মাঝে এর প্রাদুর্ভাব হুহু করে বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ দিনে কারাগারে বন্দি আনুমানিক ৫০০ শতাধিক হাজতি- কয়েদি চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের জন্য  কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) স্যারের উদ্যোগে পর্যাপ্ত ড্রপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চোখ ওঠা বন্দিদের কারা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যতটা সম্ভব তাদেরকে ওয়ার্ডে থাকা জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. চন্দ্র শেখর মজুমদার জানান, দেশে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। এ রোগকে বলে কনজাংটিভাইটিস। চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহই চোখ ওঠা রোগ। এ রোগটি মূলত ভাইরাসজনিত এবং ছোঁয়াচে।

সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখ ওঠা রোগ হয়। আবার কখনো কখনো অ্যালার্জির কারণেও এ রোগ হয়ে থাকে। যে মৌসুমে বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকে, সে সময় এ রোগটা বেশি হয়। রোগীর ব্যবহৃত জিনিস অন্যরা ব্যবহার করলে এ রোগ ছড়ায়।

তিনি আরও বলেন, সাধারণত সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই এই রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে হয়তো ১৫ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। প্রয়োজনে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রি. জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক বলেন, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের মাঝে চোখ ওঠা রোগ একটু বেড়ে গেছে। কারা চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। আমরা  চোখের ড্রপের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেসব বন্দী এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা যেন সুস্থ বন্দিদের সঙ্গে মেলামেশা না করে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। গত সাত দিন আগেও আনুমানিক আড়াইশোর মধ্যে বন্দি আক্রান্ত হয়েছিল। সেটা এখন ধীরে ধীরে কমে আসছে।

কারাগার থেকে একটি সুত্র জানায়, এখন পর্যন্ত কোনো বন্দী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়নি। তবে চোখ উঠা রোগে বন্দিদের পাশাপাশি পাহারায় থাকা কারারক্ষীদের অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে কর্মকর্তারাও আছেন।

এই বিভাগের আরও খবর