,

কাশিয়ানীতে ২৩৩ মন্ডপে চলছে দুর্গোৎবের প্রস্তুতি

ফাইল ফটো

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: শরতের কাঁশফুল, ঢাকের বাদ্য আর প্রতিমা তৈরিতে কারিগরদের ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা।

আগামী পহেলা অক্টোবর মহাষষ্ঠির মধ্যে দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।

এ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ২৩৩টি মন্ডপে চলছে প্রস্তুতি। দিনরাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।

এবারে দুর্গা মায়ের আগমন ঘটবে গজে আর যাবে দোলায়, সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলায় ভরে যাবে দেশ আর ভাতৃত্বের বন্ধন ও রোগমুক্তির আশায় অন্যরকম আনন্দে ভাসছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।

অধিকাংশ পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর মূল কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন শুধু চলছে সাজ-সজ্জায় ও রংয়ের কাজ। সীমিত পরিসরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হলেও বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পূজামন্ডপগুলো।

প্রতিমা নির্মাণশিল্পী কালিপদ পাল বলেন, ‘খড়, ছন ও কাঁদামাটি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিমা। এখন শুধু প্রতিমা পরিপূর্ণ রূপ দিতে রং তুলির শেষ আচড় দেওয়া হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করা হবে।’

এদিকে, শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে উপজেলার সর্বত্র এখন চলছে উৎসবের আমেজ। ঘরে বাইরে পূজাকে ঘিরে চলছে ব্যস্ততা। যদিও এখন পর্যন্ত বিপনী বিতানগুলোতে পূজার কেনাকাটা তেমন একটা শুরুহয়নি।

কাশিয়ানী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ২৩৩ পুজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্দিরের অনুকূলে সরকারিভাবে ৫শ’ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

কাশিয়ানী থানার ওসি মো. সওগাতুল আলম বলেন, ‘দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ও যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রতিটি পূজামন্ডপে পুলিশের পাশাপাশি মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা নিয়োজিত থাকবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্ততি নেয়া হবে।’

-লিয়াকত হোসেন লিংকন

এই বিভাগের আরও খবর