লিয়াকত হোসেন লিংকন: আর কয়েকদিন পর শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। এ লক্ষ্যে উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি।
এ বছর কাশিয়ানী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ২২৬ মন্ডপ ও মন্দিরে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিমার কাজ সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা নির্মাণশিল্পীরা। অধিকাংশ পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর মূল কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চলছে শুধু সাজ-সজ্জায় ও রংয়ের কাজ। কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিমা সব কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
খড়, ছন ও কাঁদামাটি দিয়ে পরম যত্নে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিমা। আর তাই পরিপূর্ণ রূপ দিতে রং তুলির শেষ আচড় দেওয়া হচ্ছে প্রতিমায়। রকমারি আলোকসজ্জা ও বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পুজামন্ডপগুলো। পূজাকে বর্ণিল করতে প্রতি বছরের মত এবারও চলছে নানা আয়োজন। কয়েকদিন পরে ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি ও আরতিতে মুখরিত হবে প্রতিটি মন্দির প্রাঙ্গণ।
প্রতিমা তৈরীর কারিগরেরা দেবী দুর্গা, তার সাথে বিদ্যার দেবী সরস্বতী, ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মী এবং তার সাথে দেবতা কার্তিক, গনেশসহ নানা দেব-দেবীর প্রতিমার রূপকে ফুঁটিয়ে তুলছেন নিপুন হাতের ছোঁয়ায়। তবে এখনও দূর্গাপুজার কেনাকাটা শুরু হয়নি।
কাশিয়ানী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে দূর্গাপুজা উদযাপন ও যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রতিটি মন্দিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মন্দির পরিচালনা কমিটির স্বেচ্ছাসেবক কর্মী নিয়োজিত থাকবে।