,

কাশিয়ানীতে মিলাররা চাল না দেয়ায় ‘সংকটে’ খাদ্যগুদাম

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় বোরো ধান সংগ্রহ ২০২০ মৌসুমে মিল মালিকরা চুক্তি করে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল না দেয়ায় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র পূরণ হয়নি। খোলা বাজারে ধান চালের দাম বেশি পাওয়ায় এসব মিলাররা সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করেননি। ফলে সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও পূরণ হয়নি। এতে সংকটে পড়েছে সরকারি খাদ্য গুদামগুলো। ব্যাহত হচ্ছে সরকারি বিভিন্ন রিলিফ কার্যক্রম।

কাশিয়ানী উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৫৬ মেট্রিক টন। সেখানে সংগ্রহ করা হয়েছে মাত্র ৩ শ’ মেট্রিক টন। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র ছিল ১ হাজার ৫৮৩ মেট্রিক টন। সেখানে সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ১০ মেট্রিক টন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৭ এপ্রিল থেকে বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হয়। যা গত ৩১ আগস্টে অভিযানের সময় সীমা শেষ হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় সংগ্রহের সময়সীমা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। উপজেলার ২৩টি মিলার সরকারি গুদামে ধান-চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু বাজারে প্রতি মণ ধান ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। একইভাবে মোটা চালের খুচরা বাজারমূল্য এলাকা ভেদে ৩৯ থেকে ৪১ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে। অথচ চালের সরকারি সংগ্রহ মূল্য প্রতি কেজি ৩৬ টাকা। এ হিসাবে দেখা যায়, প্রতি মণ ধান-চালের সরকারি সংগ্রহমূল্য প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা কম থাকায় তালিকাভূক্ত অনেক মিলারই সরকারি খাদ্যগুদামে ধান-চাল সরবরাহ করেনি। আবার কেউ কেউ সরবরাহ করলেও শর্ত মোতাবেক শতভাগ ধান-চাল সরবরাহ করেনি।

কাশিয়ানী উপজেলা হাসকিং চালকল মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘করোনা ভাইরাস ও বন্যায় চাতাল তলিয়ে যাওয়া এবং শ্রমিক সংকটের কারণে আমরা চুক্তি অনুযায়ী চাল দিতে পারেনি। তাই আমরা নিজেরাই চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।’

কাশিয়ানী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো: হানিফ বলেন, ‘যারা চুক্তি করে খাদ্যগুদামে চাল দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চুক্তি ভঙ্গকারী মিলারদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিবেন।’

এই বিভাগের আরও খবর