,

কাশিয়ানীতে নৌকার প্রার্থীসহ ২২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ:  গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউপি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল, এজেন্টদের বের করে জাল ভোট দেয়া, প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধর ও জোর করে ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর এবং দায়িত্বরত পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিএম হারুন অর রশিদ পিনুসহ অজ্ঞাত ২২৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে।

গত ১৩ নভেম্বর প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ সেলিম সরদার বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) কাশিয়ানী থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ রায়হান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন বেলায় সাড়ে ১১ টার দিকে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিএম হারুন অর রশিদ পিনুর নেতৃত্বে ২০০/২২৫ জন লোক লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাতইল ইউনিয়ন পরিষদ ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা অন্যান্য প্রতীকের এজেন্টদের গালিগালাজ করে বুথ থেকে বের করে দেন। গালিগালাজ করতে নিষেধ ও বিষয়টি মোবাইল ফোনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের অবগত করলে প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ সেলিম সরদারকে মারধর করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিএম হারুন অর রশিদ পিনু ও তার সমর্থকরা। এমনকি সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার নাজমা নাঈমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর করিয়ে নৌকা প্রতীকে সীল দিয়ে ব্যালট বাক্সে ঢুকান তারা। এ সময় ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত নুরুল আমিন, হেলাল ও সোলাইমান নামের তিনজন পুলিশ সদস্য এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করা হয়। সুষ্ঠু নির্বাচন কার্যক্রম ব্যাহত ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে বাঁধা প্রদান করা হয়।

এ ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিএম হারুন অর রশিদ পিনুসহ অজ্ঞাতনামা ২২৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কাশিয়ানী থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ রায়হান বলেন, ‘প্রিজাইডিং অফিসারের দেয়া অভিযোগ অনুযায়ী মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় একজনের নাম উল্লেখসহ ২২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। আসামীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে রাতইল ইউনিয়ন পরিষদ ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার পর নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর