কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে দেশী মুরগীর নামে বিক্রি হচ্ছে পাকিস্তানি মুরগী। হাট-বাজারে মুরগী কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা।
বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে এক শ্রেণির অসাধু বিক্রেতারা পাকিস্তানি সোনালী মুরগীকে দেশী মুরগী বলে বিক্রি করছে। এতে দেশী মুরগীর বাজার ধ্বংস হচ্ছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। সোনালী মুরগী দেশীয় মুরগির মতো দেখতে একই রকম হওয়ায় ক্রেতাদের পক্ষে বুঝা মুশকিল। এ সুযোগ নিচ্ছেন মুরগি বিক্রেতারা। দেশিয় মুরগির নামে ক্রেতাদের ধরিয়ে দিচ্ছেন পাকিস্তানি রঙিন মুরগি।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার মনিটরিং অভাবেই অসাধু মুরগী ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানী সোনালী মুরগীকে দেশী মুরগী বলে বিক্রি করছে। এতে ক্রেতা সাধারণ মুরগী কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরার ক্রেতাদের দেখাতে একই খাঁচায় পাকিস্তানী ও দেশী মুরগী রেখেছেন। এরমধ্যে অধিকাংশ পাকিস্তানি মুরগী, দু’ একটা দেশী মুরগী ক্রেতা আকৃষ্ট করতে রাখা হয়। ক্রেতার পছন্দ হলে চাহিদা অনুযায়ী কৌশলে পাকিস্তানি মুরগি ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন হাট-বাজারেও গৃহস্থ সেজে অনেকে পাকিস্তানি সোনালী মুরগীকে দেশী মুরগী বলে বিক্রি করছে।
দেশীয় মুরগী ব্যবসায়ী নুর ইসলাম মোল্যা বলেন, এক শ্রেণির মুরগী ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানী মুরগীকে দেশী মুরগী বলে বিক্রি করছে। এতে দেশী মুরগীর বাজার নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাজার মনিটরিং করে দ্রæত এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
কাশিয়ানী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘এ ব্যাপারে শীঘ্রই হাট-বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’