,

কাশিয়ানীতে ২৩৬ মন্ডপে চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি

লিয়াকত হোসেন লিংকন: শরতের কাঁশফুল, ঢাকের বাদ্য আর প্রতিমা তৈরি কারিগরদের ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা।

২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর সপ্তমী, ১১ অক্টোবর অষ্টমী ও ১২ অক্টোবর নবমী ও দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

এ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ২৩৬টি মন্ডপে চলছে প্রস্তুতি। দিনরাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা নির্মাণশিল্পীরা।

অধিকাংশ পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর মূল কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন শুধু চলছে সাজ-সজ্জায় ও রংয়ের কাজ। বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পূজামন্ডপগুলো।

প্রতিমা নির্মাণশিল্পী প্রভাষ পাল বলেন, ‘খড়, ছন ও কাঁদামাটি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিমা। এখন শুধু প্রতিমা পরিপূর্ণ রূপ দিতে রং তুলির শেষ আচড় দেওয়া হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিমার কাজ শেষ হবে।’

এদিকে, শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে উপজেলার সর্বত্র এখন চলছে উৎসবের আমেজ। ঘরে বাইরে পূজাকে ঘিরে চলছে ব্যস্ততা। যদিও এখন পর্যন্ত বিপনী বিতানগুলোতে পূজার কেনাকাটা শুরু হয়নি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ২৩৬ পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্দিরের অনুকূলে চাল বরাদ্দের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে মন্ডপের তালিকা পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুব্রত ঠাকুর জানান, এ বছর উপজেলার ২৩৬টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে। কাশিয়ানী সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির একটি উপজেলা। এখানে বড় ধরণের কোন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

কাশিয়ানী থানার ওসি মো. শফিউদ্দিন বলেন, দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ও যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি পূজামন্ডপে পুলিশের পাশাপাশি মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা নিয়োজিত থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাসেদুজ্জামান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর