বাগেরহাট প্রতিনিধি: জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসারত এক কিশোরের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ পরিলক্ষিত হওয়ায় পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়ায় পরিবার তাকে নিয়ে বাগেরহাটে পালিয়ে এসেছে। টেস্টের পর তার কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, গত ১৩ এপ্রিল সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এক ব্যক্তি তার কিশোর ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয় দিন পর ওই কিশোরের কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠায়। কিন্তু প্রতিবেদন আসার আগেই রোববার তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে পালিয়ে বাগেরহাটে চলে আসেন।
সিভিল সার্জন বলেন, মঙ্গলবার তার পরীক্ষা প্রতিবেদনে পজেটিভ আসে। এ কথা ফোন করে কিশোরের বাবাকে জানালে তিনি তারা কোথায় আছেন তা বলতে অস্বীকৃতি জানান। বুধবার সকালে প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের সন্ধান পেয়ে সেখানে যাই আমরা। কিশোরের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। সে সুস্থ, স্বাভাবিক রয়েছে। তার চিকিৎসা বাড়িতে রেখেই দেওয়া হবে।
উক্ত কিশোরের সংস্পর্শে আসা ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনায় পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের আশপাশে আর কোনো বাড়িঘর না থাকায় শুধু ওই বাড়িটি অবরুদ্ধ করে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ৮ জন চিকিৎসকসহ মোট ৩০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ১৫ জন চিকিৎসক এবং ৩৭ জন নার্সকে কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক কাজল কুমার কর্মকার বলেন, এর আগে সাতজন চিকিৎসকের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। মঙ্গলবার আরও একজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ এসেছে।