,

এমপির কাটা ধান ‘পাকা’ বলছে কৃষি বিভাগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: অধিকাংশ মাঠেই এখন পেকে গেছে বোরো ধান। তবে শ্রমিক সংকটে সেই ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তাই ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষককে সাহায্য করছেন জেলার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অনেক জেলায় এমপিরাও মাঠে গিয়ে নেতাকর্মীদের ধান কাটার কাজ তত্ত্বাবধান করছেন বলে গণমাধ্যমে প্রায়ই খবর প্রকাশিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার ক্ষেতের ধান কেটে কৃষককে সাহায্য করলেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোটমনির। তবে সেই ধান পাকা নয়, কাঁচা!

মঙ্গলবার এমপির কাঁচা ধান কাটার এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে এখন আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

এমপির কাটা ওই ধানের ক্ষেতে আবাদ করা ধানটি বিধান-২৮ জাতের বলে জানা গেছে, যা কাটার মৌসুম চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ৭ এপ্রিল থেকে টাঙ্গাইল জেলা লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এতে বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থা। বন্ধ রয়েছে অফিস, আদালত, হাটসহ নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর লোকসমাগম। এছাড়াও মানতে হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

এর মধ্যে পাকতে শুরু করেছে ধান। তবে দেখা দিয়েছে ধান কাটায় চরম শ্রমিক সংকট। এমন খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে গোপালপুর পৌর শহরের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে সুজনের ২০ শতাংশ জমির ধান কেটে দেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোটমনির। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ, গোপালপুর পৌরশহর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান টগরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

এমপির ধান কাটার সময় ভিডিও ধারণসহ ছবি তোলা হয় যেখানে ধানগুলো দেখতে কাঁচা মনে হয়। আর এতেই এমপি কাঁচা ধান কেটেছেন বলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

‘কাঁচা’ ধান কাটা প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সংবাদটি জানতে পেরে এমপির ধান কাটা ওই জমিতে সরেজমিন যাই আমি। ওই জমিতে আবাদকৃত ধানটি ছিল বিধান-২৮, যা এখন কাটার সময়। এ ছাড়াও জমিটি নদীর পাড়ে হওয়ায় ধানের শীষ পাকা হলেও এর পাতাগুলো রয়েছে সবুজ। এ কারণে মানুষের কাছে মনে হচ্ছে এমপি কাঁচা ধান কাটছেন।’

এই বিভাগের আরও খবর