,

একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ১৯৭৫, মৃত্যু ছাড়ালো ৫০০

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৭৫ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৩৫ হাজার ৫৮৫ জন। একই সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরো ২১ জন, এ নিয়ে মোট প্রাণহানি দাঁড়ালো ৫০১ জন।

সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৪১টি, পরীক্ষা করা হয়েছে নয় হাজার ৪৫১টি। এখন পর্যন্ত মোট দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন ও রংপুর বিভাগের ১ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন; ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩ জন; ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন; ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৪ জন; ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২৮৪ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন চার হাজার ৬৫৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৫ জন, মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই হাজার ২৫৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে দুই হাজার ৩৮৪ জনকে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৬৫ হাজার ৮৬৩ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই হাজার ১১২ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ১০ হাজার ৪৫৮ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৫ হাজার ৪০৫ জন।

করোনার ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা অনলাইন ব্রিফিংয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। নাসিমা সুলতানা বলেন, প্রত্যেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।

এই বিভাগের আরও খবর