নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। শুরুতে প্রার্থনায় ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধসহ করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি কামনা করা হয়েছে।
রোববার সকালে রাজধানীর কাকরাইলে সেন্ট মেরি ক্যাথিড্রাল গির্জাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বড়দিনের উৎসব উদযাপন শুরু হয়।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মানুসারীরা আজ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে বড়দিন উদযাপন করছেন।
উৎসব উপলক্ষে রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে সাজানো হয়েছে ক্রিস্টমাস ট্রি এবং খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্টের জন্মের স্থান প্রতীকী গোশালা।
প্রার্থনায় ফাদার প্যাট্রিক শিমন গমেজ বিশ্বের সব মানুষের শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন। এ সময় খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা প্রার্থনায় অংশ নেন। প্রার্থনায় যিশুর মহিমাকীর্তন এবং শান্তি ও ন্যায়ের কথা বলা হয়।
প্রার্থনা শেষে ফাদার মিল্টন ডেনিস কোড়াইয়া বলেন, ‘বড়দিন আমাদের সব থেকে বড় উৎসব। দিনটি উপলক্ষে আমরা সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আনন্দসহকারে দিনটি আমরা উদযাপন করছি। এই দিনে আমাদের প্রার্থনা হলো, সব মানুষ যেন সব মানুষকে ভালোবাসে। পৃথিবীতে যেন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে যেন শান্তি বর্ষিত হয় সেই প্রার্থনা করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সকলের শান্তি কামনা করি। যিশুর বাণী অনুসারে সকলে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করুক সেটাই প্রার্থনা করছি।’
উৎসব উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট গির্জা কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয় রাজধানীসহ সারা দেশে।
প্রার্থনা শেষ হলে র্যাব মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে ফুল ও কেক ফাদারের হাতে তুলে দেয়া হয়।
খ্রিষ্টধর্ম অনুযায়ী, এই দিনে খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, ‘সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর এই ধরায় আগমন ঘটেছিল। তাই অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন।