,

উপকূলীয় লোকজনদের সরিয়ে নিচ্ছে কোস্টগার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে উপকূলীয় ঝুকিপূর্ণ এলাকাসমূহ থেকে লোকজনকে বিভিন্ন সাইক্লোন সেল্টার স্টেশনে নেয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

ইতোমধ্যেই কোস্টগার্ড সদস্যরা ভোলার বিভিন্ন উপকূলীয় দ্বীপসমূহ ও সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে সাইক্লোন সেল্টার স্টেশনেগুলোতে আনা এবং তাদেরকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে তাদের সচেতন করা শুরু করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোস্টগার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. হায়াত ইবনে সিদ্দিক জানান, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনাসহ বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে জেলে ও ঝুঁকিতে থাকা স্থানীয় মানুষজনকে সাইক্লোন সেন্টার নেয়ার জন্য ব্যবস্থা ও তাদেরকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন প্রকার অভিযান পরিচালনা করছে কোস্টগার্ড। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ঝুঁকি শেষ না পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, গতি ও শক্তির সঞ্চার করে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।

ইতোমধ্যেই, অতি প্রবল শক্তিশালী তথা এক্সট্রিম সিভিয়ার সাইক্লোন থেকে সুপার সাইক্লোনে উন্নীত হয়েছে এটি। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২২৩ কিলোমিটার। যা বিকেল পর্যন্ত ছিল ২১০ কিলোমিটারেরও কম। এ ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের এখন যে বেগ তা সিডরের চেয়েও বেশি। ফলে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এদিকে, শক্তির সঞ্চার করে গতি বাড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। এটি এখন প্রায় ২২ কিলোমিটার বেগে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। যে গতি বিকেল পর্যন্ত ছিল ১৪ কিলোমিটারের চেয়ে একটু বেশি।

সোমবার (১৮ মে) সন্ধ্যার পর আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিওএমও) ওয়েবসাইটে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর