,

‘ইমামের রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য’ বন্ধে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: পাঁচটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রাম। আর ওই গ্রামের অশান্তির কারণ একজন মসজিদের ইমাম। ইমামের রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানীমূলক বক্তব্য, ইসলামবিরোধী ও নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে গ্রামবাসীর মধ্যে গ্রুপিং ও দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘাতের আশংকা রয়েছে।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে এ ঘটনা চলে আসছে।

ওই গ্রামের ওমর বিন খাত্তাব (রা.) জামে মসজিদের ইমাম মো. নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।

তিনি উপজেলার চরপদ্মবিলা গ্রামের হাসান কাজীর ছেলে।

ইমামের এসব অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করতে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই মসজিদের সভাপতি বুলবুল আহমেদ।

অভিযোগে বলা হয়েছে- মসজিদের ইমাম মো. নাজিম উদ্দীন মসজিদে বয়ান করার সময় রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি একজন আলেম হয়েও ইসলাম ও সমাজবিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। এছাড়া একাধিক নারী কেলেঙ্কারি ঘটনার সাথে জড়িত এবং তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রীকে মুঠোফোনে কু-প্রস্তাব দেন। এসব ব্যাপারে তাকে একাধিকবার সর্তক করলেও তিনি তা শুনছেন না। এলাকার উচ্ছৃঙ্খল-লাঠিয়াল যুবকদের নিয়ে গ্রামে ত্রাস সৃষ্টি করছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

ইমামের কারণে ওই এলাকায় বড় ধরণের সহিংসতা ও সংঘাতের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। ইমামের এসব অনৈতিক ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড বন্ধ এবং মসজিদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে গ্রামের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে ইমাম নাজিম উদ্দীনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘করোনাকালে ঈদগাহে নামাজ না পড়িয়ে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ানোকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমি একজন আলেম মানুষ। আমার পক্ষে এলাকার সব লোকজন আছেন।’

কাশিয়ানী থানার ওসি মোহাম্মাদ মাসুদ রায়হান বলেন, ‘এ ব্যাপারে থানায় কখনও কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

এই বিভাগের আরও খবর