,

‘আর জীবনেও মাফে কম অইব না, স্যার’

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শিমুলকান্দি ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কর্মসূচির সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৭৫১। কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে দুজন ডিলারের মাধ্যমে। একজন ছাত্তার ও অন্যজন নাজিম উদ্দিন। ছাত্তারের অধীনে কার্ড রয়েছে ৩৭৫টি। নাজিম উদ্দিনের মাধ্যমে চাল বিতরণ হয় ৩৭৬ জনের মধ্যে। কার্ডধারী ব্যক্তিরা বছরে ৫ বার ১০ টাকা কেজি দরে চাল পেয়ে থাকেন। প্রতি কার্ডের বিপরীতে চাল দেওয়া হয় ৩০ কেজি। এক সপ্তাহ আগ থেকে এ বছরের প্রথম কিস্তির চাল বিতরণ শুরু হয়। একজন ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে নির্দিষ্ট একটি ঘরে রেখে চাল বিতরণ করার নিয়ম।

এ কর্মসূচির আওতায় ডিলার ছাত্তার রোববার শিমুলকান্দি বাজারের একটি ঘর থেকে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। তাঁর কাছ থেকে প্রথম দিন চাল নেওয়া প্রায় সবার অভিযোগ, তাঁদের ওজনে কম দেওয়া হয়েছে। ৩০ কেজির দাম রাখলেও চাল দেওয়া হয়েছে ২৬ কেজি করে। আজ দ্বিতীয় দিনেও একইভাবে চালে ওজনে কম দেওয়া হচ্ছিল।

ছাত্তারের চাল বিতরণ কার্যক্রমের ট্যাগ অফিসার উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ চাল বিতরণের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

একই ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে এমাদ মিয়ার স্ত্রী সায়েরা বেগম ১০ টাকা কেজি দরের চাল পেয়ে আসছেন। আজ চাল এনে বাড়িতে ওজন করে কারচুপির বিষয়টি টের পান সায়েরা। এরপর স্বামীকে নিয়ে আবারও ডিলার ছাত্তারের কাছে ফিরে আসেন।

এমাদ মিয়া বলেন, ‘টাকা নেয় ৩০০। কিন্তু দেওয়ার সময় পাই ২৫ থেকে ২৬ কেজি। আজও চার কেজি চাল কম পাইছি। কোনোভাবেই মানতে পারতেছিলাম না। এমন সময় হুনলাম, স্যার (জুলহাস হোসেন) আইছেন। ভাবলাম, নালিশ করলে কাম অইব। করলাম। কাম হইছে।’

এ বিষয়ে কথা হয় ডিলার ছাত্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, দ্রুততার সঙ্গে কর্মসূচি এগিয়ে নিতে বাটখারার পরিবর্তে বালতি দিয়ে ওজন করা হচ্ছিল। এ কারণে একটু এদিক–ওদিক হয়েছে। তবে এর পর থেকে এমন আর হবে না।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. জুলহাস হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে বিতরণস্থলে যাই। এরপর ওজন করে রাখা তিনটি বস্তার আবার ওজন দিয়ে দেখি একটির মধ্যে আছে ২৫ কেজি ৯০০ গ্রাম। অন্য দুটির মধ্যে যথাক্রমে ২৫ কেজি ও ২৬ কেজি করে পাওয়া যায়।’

এই বিভাগের আরও খবর