,

‘আমি নোংড়া রাজনীতির শিকার’-দেবদুলাল বসু

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ:‘আমি অসহায় পরিবারকে সহযোগিতা করে নোংড়া রাজনীতির শিকার হয়েছি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কাল্পনিক বিবাহের ঘটনা সাজিয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস অপচেণ্টা চালাচ্ছে।’ এমনটাই দাবি করেছেন কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু।

ক্লিন ইমেজের নেতা দেবদুলাল বসু পল্টু বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করি। সর্বদা অসহায় দরিদ্র পরিবারে পাশে থাকি। আমি দীর্ঘদিন জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে কাজ করেছি। এলাকার উন্নয়নে সর্বদা নিয়োজিত সচেষ্ট ছিলাম। আমার এলাকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের উন্নয়নে কাজ করেছি। কিন্তু রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে একটি খারাপ মেয়েকে আমার পিছে লেলিয়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপরাজনীতি করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল গ্রামের চিত্তরঞ্জন হালদারের মেয়ে শিলা হালদার কিছু অসাধু রাজনৈতিক ব্যক্তির সহযোগিতায় আমার বিরুদ্ধে একটি কাল্পনিক বিবাহের ঘটনা রচিত করে একটি মিথ্যা অভিযোগ করেছে। ওই পরিবারটি তাদের অসহায়ত্ব ও চিত্তরঞ্জন হালদারের চিকিৎসা কথা জানিয়ে আমার নিকট আর্থিক সাহায্য চায়। তখন আমি তার চিকিৎসা নিজ খরচে করিয়ে দেই। তাদের অসহায়ত্বের জন্য তাদেরকে আমি সহযোগিতা করি। সেই পরিবারের সদস্য এমন ঘৃন্য মনোভাবাপন্ন হয়ে আমার নামে এমন অভিযোগ করবে ভাবতে পারিনি। আমি এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

শিলা দালদারের পিতা চিত্তরঞ্জন হালদার বলেন, পাঁচ বছর আগে আমার দাঁতের চিকিৎসার জন্য দেবদুলাল বসু পল্টুর কাছে সহায়তা চাই। তখন তিনি আমাকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে ছিলেন। তখন আমার মেয়ে শিলাও সাথে ছিল। সে সময় মোবাইল নাম্বার আদান-প্রদান করে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে আমার ধারণা। তিন মাস আগে আমি জেনেছি এবং আমি আমার মেয়েকে বুঝিয়েছি-মা তোমার এখনও সময় আছে। তুমি ফিরে এস অন্য জায়গায় বিবাহ কর।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও পটুয়াখালীর একটা ছেলের সাথে আমার মেয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল। পরে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। সে ঘটনাটিও আমরা অনেক পরে জেনে ছিলাম।‘

এ ব্যাপারে শিলা দালদার বলেন, ‘আমরা চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক করে ঘরে ভিতরে শ্রী কৃষ্ণকে স্বাক্ষী রেখে আমরা বিবাহ করি। সেই থেকে আমরা ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকতে ছিলাম।’

কিভাবে বিয়ে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিয়ে কোন মন্দিরে হিন্দু পুরোহিত রেখে বা স্বাক্ষী রেখে হয়নি। কোর্ট ম্যারেজও করা হয়নি। শুধুমাত্র আমার ঘরের ভিতরে ছোট আসনে ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে স্বাক্ষী রেখে বিয়ে হয়।’

-হেমন্ত বিশ্বাস

এই বিভাগের আরও খবর