আজ ৪ জুন, সারা দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় চা দিবস। এ উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রথম জাতীয় চা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চায়ের বিপুল চাহিদা থাকায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি করা সম্ভব।’
মন্ত্রী বলেন, একসময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানী পণ্য হলেও বর্তমানে দেশে চায়ের উৎপাদন অনেক বেড়েছে, একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চা তেমন রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্য উল্লেখ্য করে মন্ত্রী বলেন, চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। শুধু অর্থনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যেই নয় বরং সারা বিশ্বে চায়ের মাধ্যমে যাতে বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে পরে সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।’
চা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিটি-২২ ও বিটি-২৩ নামে দু’টি ক্লোন জাত চা অবমুক্ত করেন মন্ত্রী। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলস্থ টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। ১৯৫৭ সালে ৪ জুন বঙ্গবন্ধু চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় রাখতে এবং দেশের চা শিল্পকে এগিয়ে রাখতে এই দিবস ঘোষণা করা হয়েছে।