,

শীতে কাঁপছে গোপালগঞ্জ, জনজীবনে দুর্ভোগ

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বাড়িয়ে তুলেছে শীতের তীব্রতা। ফলে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।

এতে বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু বৃদ্ধাসহ নানা বয়সী মানুষ। এদিকে কুয়াশা কারণে দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এমন আবহাওয়া আরো একদিন থাকবে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলা জুড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে অনেকেই। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নদী তীরবর্তী ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। তারপরেও জীবিকার তাগিদে হাড়কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে খুব সকালে কাজের সন্ধানে রাস্তায় বের হচ্ছেন খেটে খাওয়া অনেকেই। হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।

গোপালগঞ্জ শহরের রিক্সাচালক আব্দুল মজিদ বলেন, হিমেল হাওয়ায় রিক্সা চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতের কারণে অনেকেই বাসা থেকে বের হচ্ছে না। এ জন্য আমাদের আয় অনেকটা কমে গেছে।

সদরের রঘুনাথপুর ইউনিয়নের কৃষক অবনি মন্ডল বলেন, তীব্র শীতের কারণে আমরা জমিতে যেতে পারছি না। বর্তমানে ইরি ধানের সময়, কাজেরও অনেকচাপ। তারপরেও আমরা শিতের কারণে জমিতে যেতে চাচ্ছি না। এদিকে শীতের কারণে শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না।’

এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের সহকারি পরিচালক অসিত কুমার মল্লিক বলেন, ‘হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে থাকা শয্যার তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও দৈনিক শীতজনিত অসুস্থতা নিয়ে শিশু বৃদ্ধাসহ প্রতিদিন অসংখ্য রোগী ভর্তি হচ্ছেন।’

গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন , আরও একদিন জেলায় এমন আবহাওয়া থাকতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর


Antalya korsan taksiAntalya korsan taksi