নিজস্ব প্রতিবেদক: জমির মালিক ও ডেভেলপারের বিরোধের জের ধরে রাজধানীর মৌচাকে লিলি প্লাজা মার্কেটে হামলা করে একদল সন্ত্রাসী। গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) লিলি প্লাজায় অবস্থিত বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, লিলি প্লাজা ও জমির মালিক মির্জা মোসলেমা আক্তার গংদের জমিতে মার্কেট করার উদ্দেশ্যে ভিবো ডেভেলপারের সাথে একটি চুক্তিপত্র দলিল সম্পাদন করেছিলেন। বিনিময়ে ভিবো ডেভেলপার মোসলেমা আক্তারকে নগদ কিছু অর্থ সহ দেড় কোটি টাকার কয়েকটি চেক প্রদান করেছিল। কিন্তু সবগুলো চেক ক্যাশ না হওয়ায় বিরোধের সূত্রপাত ঘটে।
বিরোধ মিমাংসার জন্য মার্কেট কমিটি ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেয় দ্রুত সময়ের মধ্যে চেকগুলো ক্যাশ করে প্লান পাশ করাবে ভিবো বিল্ডার্স। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, সমঝোতার পরেও ভিবো ডেভেলপার পাওনা টাকা দিতে বার্থ্য হলে লিলি প্লাজার মালিক মির্জা মোসলেমা আক্তার বাধ্য হয়ে ভিবো ডেভেলপারের দেওয়া চেকগুলো ডিজঅনার করে আদালতে মামলা করেন, মিস মোকাদ্দমা মামলা নং- ১৫৩/২০২৩ ইং এবং কিন্তু ভিবো ডেভেলপার আইনের কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে বারবার ভিবো ডেভেলপার কোম্পানি জোর পূর্বক লিলি প্লাজা মার্কেটটি দখলে নিতে ছাত্রলীগ যুবলীগ সহ কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে এবিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ থানায় একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছে, এ দাবী মির্জা মোসলেমা আক্তার পরিবারদের।
ভিবো বির্ল্ডাস বারবার জবর দখলের অপচেষ্টা সহ আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করায় এবং লিলি প্লাজার অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা সহ কোট ভায়োলেশন ২৯/২০২৪ ইং মামলা হয়েছে।
বর্তমানে চেক ডিজওনার মামলা, চুক্তি বাতিল মামলা ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা সহ কোট ভায়েলেশন মামলা চলমান রয়েছে। বিগত ফ্যাশিস্ট আওয়ামীলীগের দোষর সাবেক মন্ত্রী ফরিদপুরের আঃ রহমান এর ঘনিষ্ট সহচর যুবলীগ নেতা ভিবো বিল্ডার্স কতৃপক্ষ আওয়ামীলীগ সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে ভিবো ডেভেলপার কোম্পানীটি রাতারাতি ভোল পাল্টিয়ে ছাত্র জনতা নামধারী ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে ভিবো বিল্ডার্স সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে লিলি প্লাজায় অর্তকিত হামলা চালিয়েছে, আর এ হামলায় মদদ দিয়ে সরাসরি অংশ নিয়েছে লিলি প্লাজার জনৈক ভাড়াটিয়া জাহাঙ্গীর আলম ও ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বাবলু, এদের সহায়তায় ভিবো বিল্ডার্স অস্ত্রের মুখে মার্কেটি দখল করে নিয়েছে মর্মে, দাবী করেছে মির্জা মোসলেমা আক্তার ও তার পরিবার।
বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন মিডিয়াতে মাকের্টের হামলা ঘটনা নিয়ে সংবাদ ছাপা হয়েছে এবং থানাও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়েছিল ভুক্তভোগী লিলি প্লাজার মালিক মির্জা মোসলেমা আক্তার ও তার পরিবার।
সম্প্রতি ভিবো বিল্ডার্সে এর মালিক পক্ষ জুয়েল মুন্সি ও আব্বাস উদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে প্রায় ৫০/৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ লিলি প্লাজা মার্কেটে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে লিলি প্লাজা দখলে নেয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলা ও মারধরের শিকার হয়ে বিউটি কর্ণারের মালিক ইকবাল হোসেন ও বিভিন্ন দোকানের কর্মচারী রুবায়েত, জুবায়ের, রুবেলসহ প্রায় ৫ জন আহত হয়েছেন।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠালে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে আব্দুর রহমান ওবায়দুল বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগরে ব্যাপারে রমনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম ফারুকের সাথে কথা বললে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানালেও অদ্যবদি কোনো সুরাহা হয়নি! বরং থানা পুলিশ ও ভিবো বিল্ডাস মিলে মার্কেটর মালিক মির্জা মোসলেমা আক্তারকে মামলা প্রত্যাহার করে ভিবো বিল্ডার্সের সাথে মিমাংশার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে, বলে অভিযোগ এনেছে লিলি প্লাজা মালিক পক্ষ।
এদিকে, আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল আনুমানিক ৫ ঘটিকার সময় লিলি প্লাজা মাকেটের সভাপতি সাচ্চু শেখ ওরফে ফাইটকে লিলি প্লাজার সামনে দিয়ে মালিবাগের দিকে আসার সময় ভিবো বিল্ডাস এর সন্ত্রাসী চক্র তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার সাথে থাকা নগদ ১১ হজার টাকা, হাত ঘড়ি, স্যামস্যাং এর একটি মোবাইল ফোন ও ২ ভরি স্বর্ণের একটি চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ সময়ে ভিবো বিল্ডাস এর সন্ত্রাসীরা সাচ্চুকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বলেন- “লিলি প্লাজার দিকে কখনো যেন না দেখি, পরবর্তীতে দেখলে আর প্রাণ নিয়ে ফিরে যেতে পারবি না”!
এ রিপোর্ট লেখাকালীন (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় সভাপতি সাচ্চু রমনা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছেন বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবার।