কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে যৌতুকের জন্য মেয়ের ওপর নির্যাতন ও কান কেটে মিথ্যা মামলায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ফাঁসানোর প্রতিবাদে জামাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শ্বাশুড়ি আসমা বেগম।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ বরাশুর নিজ বাড়ীতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ওই ভূক্তভোগী নারী।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী আসমা বেগম বলেন, ‘ আমার ছোট মেয়ে মারুফা খানমকে ২ বছর আগে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মালেঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম মোল্লার ছেলে রমজানের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য আমার মেয়ে মারুফাকে মারধর ও নির্যাতন করে জামাই রমজান মোল্যা ও তার পরিবারের লোকজন। এরই মধ্যে একটি পুত্র সন্তান হলেও থেমে থাকেনি নির্যাতন। পরে জোরপূর্বক বাচ্চাকে জামাই নিয়ে গেলে পুলিশের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়। জামাই রমজান মোল্যা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করে আমার মেয়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জামাই রমজান মোল্যা নিজের কান কেটে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে গোপালগঞ্জ আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
ভূক্তভোগী ওই নারী আরও বলেন, আমলায় উল্লেখিত তারিখে রমজান আমাদের বাড়িতে আসেনি। প্রশাসনের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তার মোবাইল লিষ্ট অনুযায়ী জানতে পারি সে ওইদিন গোপালগঞ্জে ছিল। নিজে কান কেটে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বৃদ্ধ বয়সে জেল-হাজতে যেতে হল। ৩০ জানুয়ারী আদালত আমাকে জামিন দিলেও আমার স্বামী এখনও জেলা হাজতে রয়েছেন। আমার স্বামী একজন কৃষক। কিছুদিন আগে তার গ্যাস্টিক আলসার অপারেশনের করা হয়েছে। দ্রুত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে স্বামীর মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ওই নারী।
এ সংবাদ সম্মেলনে সম্মেলনে আসমা বেগমের পরিবারের সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।