,

নারী সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার, স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে এক নারী সাংবাদিককে নির্যাতন করে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেয়ার অভিযোগে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে ওই সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার হয়, পরে রাতে এ নিয়ে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন নিহতের বোন।

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মরদেহ উদ্ধার হওয়া শবনম শারমিন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর ছিলেন। আর অভিযুক্ত তার স্বামীর নাম সাইদুল ইসলাম।

আব্দুর রশিদ জানান, ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে মামলাটি হয়েছে। তবে অভিযুক্ত সাইদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

চলতি বছরের শুরুতে সাইদুল ইসলামের সঙ্গে শবনম শারমিনের বিয়ে হয় এবং তারা মগবাজারের একটি বাসার ৫ তলায় ভাড়া থাকতেন।

মামলার অভিযোগে শবনম শারমিনের বোন শবনম পারভিন জানিয়েছেন, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ছোট বোন শারমিনের সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়। তখন শারমিন জানান, অফিসের কাজে ঢাকার বাইরে আছেন এবং ডিসেম্বর মাসে ঢাকা নাও ফিরতে পারেন।

তিনি জানান, ২৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে শারমিনের নম্বরে আবার কল করেন তিনি। কল হলে কেউ রিসিভ করেনি তখন। পরে ২৫ ডিসেম্বর রাতে সাইদুরকে ফোন করেন পারভিন। সাইদুরের কাছে শারমিনের অবস্থান জানতে চান ও তাদের বাসার ঠিকানা চান।

মামলায় শবনম আরও বলেন, তখন সাইদুর ঠিকানা না দিয়ে তার বোনকে নিজেদের খুঁজে নিতে বলেন। বিভিন্ন বাজে কথাও বলেন তিনি। পরে সাইদুরের কাছ থেকে কোনো তথ্য না পেয়ে দ্য রিপোর্টের অফিসে খোঁজ করেন শারমিনের স্বজনরা। অফিস থেকে জানানো হয়, শারমিন গত দুই সপ্তাহ ধরে অফিস করেন না, তিনি নাকি অসুস্থ।

তিনি জানান, এক পর্যায়ে সাইদুরের কাছ থেকে বাসার ঠিকানা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে পারভিনের ভাই ওমর রশিদ গিয়ে সেখানে দেখতে পান, দরজা আটকানো। পরে পুলিশ এনে দরজা ভেঙে ভেতর থেকে শারমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মামলায় নিহতের বোন অভিযোগ করেছেন, তিনি নিহত শারমিনের বান্ধবীর কাছে জানতে পেরেছেন তালাকের জন্য বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন সাইদুর। তাদের ধারণা, নির্যাতন করে সাইদুর তার বোনকে আত্মহত্যায় বাধ্য করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর