,

তফসিলে সমর্থন থাকবে আ.লীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পূর্ণ সমর্থন থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।

বুধবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেন, তফসিল ঘোষণার সম্পূর্ণ এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কবে, কখন হবে তা ইসি নির্ধারণ করবে। বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণার কথা ইসির, তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে আমাদের।

ইতোমধ্যে ইসির সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও জোট বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণার পক্ষে মত দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গ টেনে এইচ টি ইমাম বলেন, ইসি স্বাধীন, সাংবিধানিক ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। আমরা তফসিল আগানো বা পেছানোর কথা বলিনি। যখনই কমিশন তফসিল দেবে তাতে আমরা সহযোগিতা করব।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে আওয়ামী লীগ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বাছাইয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

এইচ টি ইমাম জানান, ৩০০ আসনে ভোটগ্রহণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও প্রায় ৭ লাখ লোকবল দরকার হয়। এ বিশাল লোকবল নিয়োগে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ৪০ হাজারের বেশি কেন্দ্রের প্রতিটিতে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ৭ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দরকার হয়।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি, কোনোভাবেই বেসরকারি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এবং এনজিও কর্মকর্তাদের যেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া না হয়। এ বিষয়ে কমিশন একমত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে দেশীয় ও বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে সতর্কতা অবলম্বনে ইসিকে তাগিদ দিয়েছে দলটি।

এইচ টি ইমাম বলেন, ‘ট্যুরিস্ট ভিসায় আসা কাউকে যেন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া না হয়, অনিবন্ধিত সংস্থার কেউ যেন নিয়োগ না পায়, নীতিমালা মেনেই যেন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।’

ইভিএমে ভোট দেওয়া, সেনা মোতায়েন, নারী ও প্রতিবন্দীদের জন্য ভোটে বিশেষ ব্যবস্থা রাখার পক্ষে মত রয়েছে আওয়ামী লীগের।

তিনি জানান, সংলাপে সেনা মোতায়েন নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে অতীতে যেভাবে সেনা মোতায়েন হয়েছে এবারও তা রাখার পক্ষে মত আওয়ামী লীগের।

‘আমরা কখনো সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে নই। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার অধীনে তা মোতায়েন থাকবে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে, ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে তারা নিয়োজিত হবেন’, বলেন এইচ টি ইমাম।

ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ইসির সঙ্গে সংলাপে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন, অভিযোগ করে এইচ টি ইমাম জানান, এ ধরনের বক্তব্য কোনোভাবে সহ্য করা হবে না। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে হেয়প্রতিপন্ন করে অমার্জিত ভাষায় সংলাপে বক্তব্য দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের অনেকে। কেউ কেউ তর্জনী উঠিয়ে কমিশনকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেছেন। এ ধরনের বক্তব্যে ধিক্বার জানাই। এর সমুচিত জবাব দেওয়া হবে ভোটে।

এক প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম জানান, নির্বাচন কমিশনকে কখনো কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করে আসছে সরকার।

এই বিভাগের আরও খবর