জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে শোকবহ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নিবেদিত কবিতা ও কবি নির্মলেন্দু গুণের সাথে এক সন্ধ্যা কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাশবন সাহিত্য পত্রিকা-এ আসরের আয়োজন করে।
বুধবার (১০ আগষ্ট) সন্ধ্যায় সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজের টিচার্স সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ আসরে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
কাশবন সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক কবি মিন্টু হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আসরে সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ওহিদ আলম লস্কার, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শাহ আলম, কবি রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, কবি গাজী লতিফ, গোপালগঞ্জ টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, যুগান্তরের সাংবাদিক এস, এম হুমায়ূন কবীর বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা শেষে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ ও ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার ইতিহাস তুলে ধরেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর পেয়ে ১৫ আগস্ট সকালে আমিও ছুটে গিয়েছিলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। সেদিন আমি এক মাত্র শেখ সেলিমকে ছাড়া কাউকে দেখিনি।
কবি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আজ কত নেতাকে দেখি। তাদের মুখে বড় বড় বুলি শুনি। সেদিন তারা ছিলেন কোথায়? বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর আমি প্রতিবাদ করেছি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙ্গালীর স্বাধীনতা সংগ্রামের মহাকাব্যের কবি। তিনি কবিতা ভালবাসতেন। তিনি তাঁর মধ্যে থাকা কবি সত্তার বিকাশ ঘটাতে চাননি। বাঙ্গালি জাতির মুক্তি লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সকল কাব্যকে অতিক্রম করেছে।
পরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নিবেদিত কবিতা পাঠ করা হয়।এ আসরে নির্মলেন্দু গুণের পরিবারের সদস্য, কবি ও সাহিত্যিকগণ এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কবি মিন্টু হক বলেন, ১৫ আগস্টের সেই বিভীষিকাময় রাতের যারা কুশিলব তারা কখনও চিন্তা করতে পারেনি এক মৃত মুজিব, জীবিত লক্ষ কোটি মুজিবের চেয়েও শক্তিশালী।
বৃহস্পতিবার সকালে কবি নির্মলেন্দু গুণ পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন।