,

গোপালগঞ্জে উল্টো মামলা দিয়ে বাদীকে হয়রানির অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ:  বাড়ির পাশে বসে নেশা করতে নিষেধ করায় গোপালগঞ্জে রহমত শেখ (১৩) নামে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষ।

গত ১৬ আগস্ট গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বলাকৈড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর ওই স্কুলছাত্রের মা রেখা বেগম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, মামলা আপোষ করতে উল্টো বাদীকে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানী করা অভিযোগ উঠেছে আসামীদের বিরুদ্ধে।

ভূক্তভোগী রেখা বলেন, ‘বাড়ির পাশে নেশা করতে নিষেধ করায় আমার ছেলে রহমত শেখকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক জখম করে প্রতিবেশি জাহাঙ্গীর শেখ ও তার তিন ছেলে। এ ঘটনায় আমি চারজনকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার প্রধান আসামী জাহাঙ্গীর শেখ বাদী হয়ে ২৫ দিন পর তার পূত্রবধূ খাদিজাকে নির্যাতনের অভিযোগ করে আদালতে উল্টো মামলা দায়ের করেন। মামলায় আমাকে ও আমার স্বামীকে আসামী করা হয়েছে। কিন্তু আমার স্বামী বাড়িতে থাকেন না। তিনি ঢাকায় থেকে কাঁচামালের ব্যবসা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করে উল্টো আসামীদের করা মামলায় হয়রানীর শিকার হচ্ছি। মামলাবাজ এ জাহাঙ্গীরের পরিবারের হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

স্থানীয়রা জানান, এ ধরণের নারী নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটেনি। জাহাঙ্গীর এলাকার একজন বিতর্কিত ও খারাপ লোক। যার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। জাহাঙ্গীরের করা মামলাটি সম্পূর্ণ সাজানো ও ভিত্তিহীন। আগের মামলা আপোষ ও হয়রানী করতে মামলা করেছেন বলে দাবি তাদের।

এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর শেখের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘মামলা বলতে সত্য-মিথ্যা আছে। ওদের মামলা সঠিক কি না সেটা আগে যাচাই করেন। আমি কোন মিথ্যা মামলা দেয়নি। ঘটনা যা ঘটেছে, সেটাই দিয়েছি। বরং আমি ওদের তিন শরীকের কাছ থেকে জমি কিনেছি। দুইজন দলিল করে দিয়েছেন, একজন দিচ্ছেন না।’

এই বিভাগের আরও খবর