জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে হাসপাতালে গিয়ে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
গত ২৩ মার্চ কাশিয়ানী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের পুরানো ভবনের পরিত্যক্ত ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভিকটিম কিশোরীর মা বাদী হয়ে পরের দিন (২৪ মার্চ) কাশিয়ানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামীরা হলেন-কাশিয়ানী সদরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে রমজান (২৪), খায়েরহাট গ্রামের রুহুলের ছেলে সোহান (২০), ঠিকানা ও পিতার নাম অজ্ঞাত সুফিয়ান (২২), ইমন (২২), কাশিয়ানী উপজেলার বরাশুর গ্রামের মামুনের ছেলে শিহাব (২০) ও অজ্ঞাতনামা একজন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুরে ওই কিশোরী কাশিয়ানী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের পুরানো ভবনের চতুর্থ তলায় পরিত্যক্ত ওয়ার্ডে গিয়ে তার এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতেছিল। এ সময় হঠাৎ করে আসামীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে নানা ধরণের কথা বলে ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায় ওই কিশোরীর বন্ধু ভয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এ সুযোগে প্রধান আসামী রমজান বাকি আসামীদের সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে পাশে অবস্থিত বাথরুমে জোরপূর্বক নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই কিশোরী কান্নাকাটি করলে আসামীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ঘটনাটি বহিরাগত লোকজন ঘটিয়েছে। আর যেখানে ঘটেছে, সেটি পরিত্যক্ত ওয়ার্ড। তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে ওসিকে বলা হয়েছে। হাসপাতালে প্রায়ই বহিরাগত ছেলে-মেয়েরা প্রবেশ করে। এরআগেও হাসপাতালে ছেলে-মেয়েদের অহেতুক প্রবেশের প্রতিবাদ আমাদের একজন স্টাফের ওপর স্থানীরা চড়াও হয়েছিল।’
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ আলম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
-লিয়াকত হোসেন লিংকন