,

আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির আহবায়কসহ ১২ নেতাকর্মী কারাগারে

জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ দলের ১২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের জেলা ও দায়েরা জজ আকবর আলী এ আদেশ দেন। এ সময় তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়।

বিএনপির ওই ১৫ নেতাকর্মী হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনে ছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন তারা।

কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন- আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক রবিউল হক, সদস্য সচিব খোসবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ আল মিলন, দলের কর্মী নজরুল ইসলাম, মো. মুন্নু শেখ, হেমায়েত শেখ, হেমায়েত হোসেন মৃধা, সাজ্জাদ হোসেন, সৈয়দ মাইনুল হক, ফয়সাল সরদার ও মফিজুর রহমান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৩১ জুলাই ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ ছিল। এর আগের দিন রাতে আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকায় একটি মিছিল বের করা হয়। রাত সোয়া ৯টার দিকে মিছিলকারীরা আলফাডাঙ্গা লোকাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুলিশ চেকপোস্ট লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে এবং রাস্তায় টায়ারে আগুন দেয়। পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাতটি শটগানের গুলি ছোড়ে।

এ সময় ইটের আঘাতে উপপরিদর্শক রবিউল ইসলাম, কনস্টেবল নূর এলাহী, মিল্টন বিশ্বাস ও মহসিনসহ চারজন আহত হন। এ ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানার এসআই রবিউল ইসলাম স্থানীয় বিএনপির ২৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি করা হয়। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী উৎপল চক্রবর্তী বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত ১৫ জন আসামি গত ৭ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়ে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশ মেনে বিএনপির ওই ১৫ নেতাকর্মী ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত ১২ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বয়স বিবেচনা করে মো. রিজাউল ইসলাম, আলমগীর হোসেন ও হাদী রতনের জামিন মঞ্জুর করেন।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া বলেন, বিএনপির এক দফার আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে এ গায়েবি মামলা করা হয়েছে। ৩০ জুলাই রাতে আলফাডাঙ্গা লোকাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ বা রাস্তায় টায়ারে আগুন দেওয়ার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি এ গায়েবি মামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং গ্রেফতার ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেন।

এই বিভাগের আরও খবর