,

১৭ বছরের রেকর্ড ভাঙল দিল্লির তাপমাত্রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রতিনিয়ত যেভাবে তাপমাত্রার পারদ নামছে রাজধানী দিল্লিতে তাতে শিগগিরই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে গতকাল শনিবারই সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন ভারতের আবহাওয়াবিদরা। সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো।

রোববার ভারতের রাজধানী শহর দিল্লির তাপমাত্রা শনিবার অর্থাৎ একদিন আগের তুলনায় প্রায় দুই ডিগ্রি নেমে গেছে। দিল্লির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ১৭ বছরের মধ্যে নভেম্বর মাসের শীতলতম দিন ছিল রোববার। টানা গত তিনদিন দিল্লির তাপমাত্র ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। শনিবার তা ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে আশঙ্কা তৈরি হয় আরও কমার।

একদিন পর রোববার প্রায় ২ ডিগ্রি কমে যাওয়ায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করছেন দেশটির আবহাওয়াবিদরা।

দেশটির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের প্রধান কুলদীপ শ্রীবাস্তব বলেন, পশ্চিম হিমালয় থেকে কনকনে ঠান্ডা বাতাস ঢুকছে। ফলে দিল্লির তাপমাত্রার পারদ প্রতি দিনই নামছে। এই পরিস্থিতি আরও দু-একদিন চললেও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি বাড়বে।

আবহাওয়া দফতরের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর ছাড়া এখন পর্যন্ত এই মাসে প্রতিদিন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২-৩ ডিগ্রি কম ছিল। আকাশ পরিষ্কার থাকার কারণে এবং পশ্চিম হিমালয় থেকে ঠান্ডা বাতাস কোনও বাধা না পাওয়ায় তাপমাত্রার কমে যাচ্ছে।

২০১৭ সালে দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৮ সালে ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৯ সালে ছিল ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবার ইতোমধ্যে ৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে এখনও ঠান্ডার আমেজ অনুভব করা যায়নি জানিয়ে কলকাতার আনন্দবাজার লিখেছে, আকাশ মেঘলা থাকায় তাপমাত্রাও সেভাবে নামেনি। কিন্তু মেঘ সরতেই এ দিন সকাল থেকেই ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করে। ফলে শিগগিরই বাংলায় যে ঠান্ডা পড়বে তাতে খুব সন্দেহ নেই।

এই বিভাগের আরও খবর