,

শ্রমিক মৃত্যুর গুজবে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনে বিক্ষোভে অংশ নেয়া শ্রমিকের মৃত্যুর গুজবে পুলিশের স্থাপনায় হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত কয়েক হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে।

ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আসিফ বাদী হয়ে বুধবার রাতে মামলা করেন।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার বিষয়টি জানিয়েছেন।

বেতন বাড়ানোর দাবিতে মিরপুর ১৩ নম্বরে মঙ্গলবার পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছিলেন। ওই সময় একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী মারধর করে বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকরা। এতে দুজন আহত হন।

শ্রমিকদের মধ্যে খবর ছড়িয়ে যায়, একজন শ্রমিক মারা গেছে। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, দুজন আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা কেউ মারা যাননি।

শ্রমিক মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সড়ক অবরোধের পাশাপাশি পুলিশের স্থাপনাতে হামলা চালান শ্রমিকদের একটি অংশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করে।

মামলার বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর বলেন, ‘শ্রমিক মারা গেছে এই গুজবটি শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা হয়। মিরপুর ১০ নম্বর মোড়ে পল্লবীর সহকারী কমিশনারের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। আগুনে পুড়িয়ে দেয় দুটি মোটরসাইকেল। কাফরুল থানাতেও হামলা করে।

‘হামলকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’

বিক্ষোভের বিষয়ে রাজন নামে ভিশন গার্মেন্টসের এক শ্রমিক বুধবার বলেছিলেন, ‘বেতন ১০ পারসেন্ট বাড়ানোর দাবিতে আমরা তিন দিন ধরে আন্দোলন করছিলাম। কালকে (মঙ্গলবার) বিকেলে আমাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন মালিকরা। এরপর আমাদের ওপর হামলা করেছে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। হামলায় আমাদের শ্রমিক মারা গেছে।’

কে মারা গেছে জানতে চাইলে রাজন বলেন, ‘লালন নামে একজন।’ তখন পাশ থেকে এক নারী শ্রমিক বলেন, ‘লালন মারা যায়নি। ও বাসায় আছে।’

‘তাহলে কে মারা গেছে?’ এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি মিরপুর ১৩ নম্বরের সামনে বিক্ষোভে থাকা শ্রমিকরা।

শ্রমিক হত্যার তথ্য জানাতে না পারলেও পুলিশের ওপর চড়াও হওয়া এবং স্থাপনায় ভাঙচুরের বিষয়ে শ্রমিকরা জানান, মঙ্গলবার ‘ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা’ যখন শ্রমিকদের মারধর করে, তখন পুলিশ চুপ ছিল। এর জেরে বুধবার ভাঙচুর করা হয়।

এমডিএম গার্মেন্টসের এক নারী শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মালিকরা আমাদের দাবি পুরো মানেনি। তারা বলছে আশপাশের গার্মেন্টগুলো বেতন বাড়ালে তারাও বাড়াবে। এই কথা শুনে অনেক শ্রমিক রাস্তা থেকে সরে যাচ্ছিল।

‘তখন একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। শ্রমিকদের কয়েকজনকে মেরে গুরুতর আহত করে। এর প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করেছি।’

এই বিভাগের আরও খবর