,

রমজানের শুরুতে কাশিয়ানীতে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে রমজান মাসকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। এতে করোনার প্রাদুর্ভাবে ঘরে থাকা কর্মহীন মানুষ বিপাকে পড়েছেন। শঙ্কিত মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার হাট-বাজারে অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুন বেড়েছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, সুষ্ঠু বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে পণ্য পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে যথেষ্ট কাঁচামালের সরবরাহ রয়েছে। তবুও ৪০ টাকার পেঁয়াজ ৬০ টাকা ও রসুন ১২০ টাকা, ৩০ টাকার শসা ৬০ টাকা, দেশী মুশুরের ডাল কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা, আদা ৩৫০ থেকে ৪শ’ টাকা, ২০ টাকার আলু ২৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ঢেড়শ, টমেটো, বরবটি কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে।

চাল ও মুদি দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ইফতার সামগ্রীর দামও বেশ বেড়েছে। ৫০ কেজি বস্তার চাল ১৫শ’ টাকা থেকে বেড়ে ২১শ’ থেকে ২২ শ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার ভাটিয়াপাড়া গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, ‘এমনিতেই করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে থাকা কর্মহীন মানুষের দিন কাটছে নিদারুন কষ্টে। তারপর আবার দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় দাম যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।’

কাঁচামাল ব্যবসায়ী ইনায়েত হোসেন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে পণ্য পরিবহন খরচসহ অন্যান্য খাতেও ব্যয় বেড়েছে। তাই পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। আমাদেরও মোকাম থেকে অধিক দামে মাল কিনতে হচ্ছে। যার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।’

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরো রমজানজুড়ে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে। কেউ বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয় হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর