,

মেয়ের জন্ম সনদ জালিয়াতি করে পিতা স্কুলের ভোটার!

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: মেয়ের জন্ম নিবন্ধন সনদ জালিয়াতি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ১০২ নং পশ্চিম দেবাশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে মো. শাহিন সিকদার নামে ওই বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার দেবাশুর গ্রামের আবুল কাসেম সিকদার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অংশ নিতে তার মেয়ে তানিসা সিকদারের প্রকৃত বয়স গোপন করে অন্য একটি জন্ম সনদ তৈরী করেছেন। যা দেখিয়ে গত ২০.০১.২০২০ ইং তারিখে তার মেয়ে তানিসাকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। তাঁর মেয়ের ইপিআই টিকা কার্ড ও জন্ম সনদে জন্ম তারিখ ১.৪.২০১৬ ইং লিপিবদ্ধ রয়েছে। কিন্ত তিনি জন্ম তারিখ ১৮.১০.২০১৫ দেখিয়ে অপর একটি জন্ম সনদ তৈরী করে সেটি সঠিক বলে দাবি করছেন।

আবুল কাসেম শিকদার ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য পদের একজন প্রার্থী বলেও জানা গেছে।

আবুল কাসেম সিকদার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার মেয়ের প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৮.১০.২০১৫। আমি এই তারিখের জন্ম সনদই স্কুলে জমা দিয়েছি। কিন্তু আমার প্রতিপক্ষ একটি ভুয়া জন্ম সনদ বের করে আমাকে হয়রানী করার চেষ্টা করছে।’

পুইশুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীউজ্জামান পান্নু মোল্যা বলেন, ‘আমি টিকার কার্ড অনুযায়ী একটা জন্ম সনদ করে দিয়েছিলাম। অন্য একটি পক্ষ অভিভাবক সেজে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। আমি তা আটকে রেখেছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ রায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর