,

ভৈরবে বিএনপির আড়াইশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের গায়েবি মামলা

ভৈরব থানা। ছবি: সংগৃহীত

ভৈরব প্রতিনিধি: ভৈরবে বিএনপির আড়াইশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে দায়ের করা এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলমকে। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি।

মামলার এজাহারে শরীফুল আলমসহ স্থানীয় বিএনপির ১৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ২ নম্বর আসামি করা হয় ভৈরব উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম এবং ৩ নম্বর আসামি করা হয় সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামকে।

ভৈরব থানার এসআই মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তবে এ মামলার ব্যাপারে পুলিশ সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলছে না।

মামলার এজাহারে ঘটনা দেখানো হয় স্থানীয় বিএনপির বাসস্ট্যান্ডের কার্যালয়। এই কার্যালয়টি শরীফুল আলমের বাংলো এবং বিএনপির অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সোমবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ভৈরব উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা রোববার সন্ধ্যায় ওই অফিসে বৈঠক করে।

বৈঠকে বেগম জিয়ার মুক্তি দাবিসহ ভৈরবে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থল বিএনপির ওই অফিসে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে ভৈরবের বিএনপির নেতারা বলেছেন, রোববার বিএনপি অফিসে এ ধরনের কোনো বৈঠক বা সভা হয়নি। এছাড়া রোববার শরীফুল আলম ভৈরবেও আসেননি। তিনি ঢাকায় থাকেন।

ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় বিএনপির অফিসে আমরা কোনো বৈঠক বা সভা করিনি। এ ধরনের কোনো কর্মসূচিও ছিল না। পুলিশ গায়েবি ঘটনা সৃষ্টি করে বিএনপির নেতাকর্মীসহ আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

ভৈরব পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শাহীন বলেন, পুলিশ হয়রানি করতে গায়েবি ঘটনা সৃষ্টি করে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, অবাস্তব, অসত্য ও কাল্পনিক মামলা করেছে। ভৈরব থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার ঘটনায় কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

ঘটনার সত্যতা জানতে মামলার বাদী পুলিশের এসআই মোখলেছুর রহমানকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এই বিভাগের আরও খবর