,

বিরামপুরে আরেক যুবকের মৃত্যু

দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরামপুরে জমি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা মো.মোস্তাফিজুর রহমান (৩৬) নামের আরেক যুবক মারা গেছেন।

মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে সোমবার রাতে আব্দুল বাকি (৫৫) নামের একজন মারা যান। এ ঘটনায় মৃত্যের সংখ্যা দাড়ালো ২ জনে।

নিহত মো.মোস্তাফিজুর রহমান ওই এলাকার মো.মোজাফ্ফর রহমানের ছেলে। তিনি সংঘর্ষের ঘটনার আহত হয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

জানতে চাইলে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মনিরুজ্জামান মনির বলেন,নিহতের ঘটনায় আব্দুল বাকির ছেলে বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন,ওই গ্রামের আব্দুর সোবহান মুন্সির ছেলে মো.এমদাদুল হক, মামুনুর রশিদ এর ছেলে নুর আলম সিদ্দিকী নাঈম,আব্দুল মজিদ মুন্সির ছেলে এনামুল হক, মামুনুর রশিদ,গোলাম মোস্তফার ছেলে ইউসুফ আলী,আব্দুল ওয়াহেদ মুন্সির ছেলে গোলাম মোস্তফা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সোবহান আলীর ছেলে আব্দুল হাদি, ইমদাদুল হকের তিন ছেলে ফরিদুল ইসলাম,সাহারুল ইসলাম ও ইলিয়াস আলী।

মামলার বরাত দিয়ে থানা পুলিশ জানায়, পৌরশহরের পারভবানিপুর মুন্সিপাড়া গ্রামের এমদাদুল হক ও আব্দুল বাকি এই দুই পরিবারের মধ্যে ৬ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন গ্রামের পাশে কচু ক্ষেত পরিচর্যা করার পাশাপাশি বাঁশের বেড়ার কাজ করছিল আব্দুল বাকি। এ সময় এমদাদুল হকের লোকজন দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার ওপর হামলা করে। হামলায় আব্দুল বাকিসহ উভয় পক্ষের প্রায় ১৪ জন আহত হয়।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল বাকি মারা যান।

এ ঘটনায় সোমবার রাতেই আব্দুল বাকির ছেলে কামরুজ্জামান একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে, বিরামপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ আসামীকে আটক করে।

এই বিভাগের আরও খবর