,

বন্যার শঙ্কায় হাওরের আধা পাকা ধান কাটছেন কৃষক

বন্যার শঙ্কায় হাওরের আধা পাকা ধান কাটছেন কৃষকরা

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: আগাম বন্যার শঙ্কায় সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের খরচার হাওরে জলাবদ্ধতায় থাকা জমির আধা পাকা বোরো ধান কাটছেন কৃষকরা।

এর ফলে খরচার হাওরের নিচু এলাকায় থাকা ফসলী জমির আধা পাকা বোরো ধান আগাম বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরের বাজারের দক্ষিণ দিকে ফসল রক্ষা বাঁধের পাশে কৃষকরা কোমর পানিতে নেমে জমির আধাপাকা বোরো ধান কাটছেন।

তারা জানান, গত দুয়েক দিনের থেমে থেমে নামা অতি বৃষ্টি ও উজানের পানিতে তাদের জমির আধাপাকা ধান ডুবে আছে। যদি লাগাতার বৃষ্টি ও উজানের পানি আসা অব্যাহত থাকে তাহলে আগাম বন্যা দেখা দিতে পারে। সে জন্য আধাপাকা ধান কেটে নিচ্ছে তারা।

উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের কৃষক নারায়ণ বর্মণ বলেন, প্রতিবছর হাওরের এসব জমি জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। আমার জমির ধান অর্ধেক পেকেছে আগাম বন্যার শঙ্কায় আমি জমির ধান কাটছি।

উপজেলার খরচার হাওরের কৃষক মঞ্জু বর্মণ বলেন, জমিতে পানি জমে যাওয়ায় শ্রমিকরা ধান কাটতে চায় না। তাই বেশি দামে শ্রমিক নিয়ে জমির ধান কাটাচ্ছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী মো. আল আমিন বলেন, হাওর থেকে পানি নদীতে বেশি। এখন রাবার ড্যাম নিচু করে দিলে নদী থেকে হাওরে পানি ঢুকবে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার দাস যুগান্তরকে বলেন, আগাম বন্যার শঙ্কায় কৃষকরা জমি থেকে আধাপাকা ধান কাটছেন, এজন্য তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সফর উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে পানি নেমে আসার কারণে এমন সমস্যা হয়েছে। এ সমস্যা প্রতিবছরই হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ১৮২০ হেক্টর বোরো ফসলী জমি আবাদ করা হয়েছে। এসব জমির মধ্যে শনিবার পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৬২০ হেক্টর জমির বোরো ধান ইতিমধ্যে কাটা হয়ে গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর